জেনেভা: ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ লেগেই রয়েছে চিন ও পাকিস্তানের। একদিকে যেমন পাকিস্তান থেকে প্রায়সময়ই ভারতের দিকে গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটছে, তেমনই সম্প্রতি চিনও অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। এর যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতও। এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চেও চিন-পাকিস্তানকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে চিন-পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করেই তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, “কিছু দেশ আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলির অপব্যবহার করছে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত ব্যক্তিদের আশ্রয় দিতে এবং সন্ত্রাসবাদের সপক্ষে সাফাই দিতে।”
বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে “আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা রক্ষা” বিষয়ক বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই ভারতের তরফে প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাকি সাধারণ বিষয়ের মতো আলোচ্য নয় সন্ত্রাসবাদের বিষয়।”
#WATCH | “Hosting Osama Bin Laden…” EAM Dr S Jaishankar’s sharp response to Pakistan FM Bhutto after ‘Kashmir remark’ in United Nations
(Source: UNTV) https://t.co/glLmvW6g6H pic.twitter.com/BB1IbzKquY
— ANI (@ANI) December 14, 2022
তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জকে রুখতে গোটা বিশ্ব যেখানে একজোট হওয়ার পরিকল্পনা, প্রচেষ্টা করছে, সেখানেই আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলি সন্ত্রাসবাদে জড়িতদের সপক্ষে সাফাই দেওয়ার জন্য অপব্য়বহৃত হচ্ছে”। চিন ও পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করলেও, এই আক্রমণ যে তাদের জন্যই ছিল, তা বলার বাকি রাখে না। কারণ সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের মঞ্চে যতবারই পাকিস্তানে বসবাসকারী সন্ত্রাসবাদীদের, বিশেষ করে জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে ‘নিষিদ্ধ’ বলে ঘোষণা করার চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই বাধা দিয়েছে চিন।
বর্তমান সময়ের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সময়ে সবথেকে বেশি প্রয়োজন পরিবর্তন। আমি নিশ্চিত যে গোটা বিশ্ব, বিশেষ করে দক্ষিণ অংশ ভারতের এই চিন্তাধারার সঙ্গে সহমত। আমরা সকলেই জানি নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঠিকভাবে প্রতিনিধিত্ব ও সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে বিগত তিন দশক ধরে আলোচনা চলছে। সংস্কার নিয়ে যখন উদ্দেশ্যহীনভাবে বিতর্ক চলেছে, সেই সময়েই আসল বিশ্ব নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।”