নয়া দিল্লি: কলকাতা তথা গোটা ভারতের আবহাওয়ায় গরমের ভাগই বেশি। কিছু কিছু জায়গা বাদ দিলে বেশিরভাগ অঞ্চলেই বছরের সিংহভাগ জুড়ে গরম অনুভূত হয়। গত কয়েক বছরে উষ্ণতার পারদ এতটাই বাড়তে দেখা গিয়েছে, যা রীতিমতো অস্বস্তি বা অসুস্থতার কারণ হয়ে উঠেছে। তবে এবার শোনা গেল আরও আশঙ্কার কথা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের উষ্ণতা সহ্য করার একটা ক্ষমতা রয়েছে। সেটা পেরিয়ে গেলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর বছর কয়েকের মধ্যেই নাকি পৃথিবীর আবহাওয়া সেই সীমা পার করে যাবে।
উষ্ণায়ন বা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। সম্প্রতি গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে ভারত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পড়তে পারে। যে সব জায়গার ক্ষেত্রে আশঙ্কা বেশি, সেই তালিকায় রয়েছে কলকাতাও।
পেন স্টেট কলেজ অব হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট, পার্ডু ইউনিভার্সিটি কলেজ অব সায়েন্স একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে গোটা পৃথিবী গ্রহটারই তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে বছর কয়েকের মধ্যে। চলতি বছরের শেষেই সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পারে বিশ্ব।
গবেষকরা বলছেন, এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরলেই তা মানুষের সহ্যের সীমা পার করে ফেলবে। বেড়ে যাবে হিট স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা। পাকিস্তান ও ভারতের একটা বড় অংশে এর প্রভাব পড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে। ভারত, পাকিস্তান, চিনের যে সব শহর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেগুলি হল- দিল্লি, কলকাতা, সাংহাই, মুলতান, নানজিয়াং, ইউহান। বিজ্ঞানীরা বলছেন, উন্নত দেশগুলির থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে অধিক প্রভাব পড়বে। বৃদ্ধ বা অসুস্থ মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ওইসব জায়গায়।