সাংহাই : যতবারই করোনা-মুক্তির আশার আলো একটু একটু করে দেখতে শুরু করছেন সাধারণ মানুষ, ততবারই অদৃশ্য সেই শত্রু বুঝিয়ে দিচ্ছে, তার অস্তিত্ব এখনও টিকে আছে। যে দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল সেই চিনে আবারও নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর এই প্রথমবার চিনের সাংহাই শহরে মৃত্যুর খবর সামনে এল। একই দিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তিনজনের বয়স ৮৯ থেকে ৯১-এর মধ্যে। তাঁদের প্রত্যেকেরই অন্য কোনও অসুস্থতা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে জিলিন প্রদেশে দুজনের মৃত্যু হয় করোনায়। প্রায় এক বছর পর কোভিডে ওই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চিনে। আর এবার ফের মৃত্যু আতঙ্ক বাড়িয়েছে প্রশাসনের। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চিন একাধিক পদক্ষেপ করেছে। প্রত্যেক নাগরিকের করোনা পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রত্যেককে টিকা দেওয়া, সবটাই করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু তাতেও আটকানো গেল না। আবারও ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। এর আগে ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিল চিন, তবে এবার হাতের বাইরে পরিস্থিতি বেরিয়ে যাচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই সামনে আসছে।
চলতি বছরের শুরুতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণের গ্রাফ অনেকটাই উর্ধ্বমুখী ছিল। তবে এখন সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য চিকিৎসক সংগঠন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিল করোনা সংক্রমণ কমলেও ভাইরাসের পুরোপুরি বিদায় নেওয়ার সময় এখনও আসেনি। যে কোনও সময়ে আবারও নতুন রূপ নিয়ে ফিরে আসতে পারে করোনা। সেই আশঙ্কা আরও জোরাল হচ্ছে।
কিছুদিন আগে চিন উত্তরপূর্বের চিনা শহর চাংচুনের ৯০ লক্ষ মানুষকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে এসেছিলেন। করোনা সংক্রমণের ওপর রাশ টানতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। চাংচুন, জিলিন প্রদেশের রাজধানী। আর এবার সাংহাই শহরে করোনার কোপ বেড়েছে।