AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Covishield: কোভিশিল্ড নিয়েছেন, হয়নি তো এই বিরল রক্তের ব্যাধি? কপালে ভাঁজ গবেষকদের

Covishield linked VITT: গবেষণায় জানা গেল, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে আরও এক বিরল রক্ত জমাট বাঁধার ব্যাধি হতে পারে। কোভিশিল্ড (Covishield) ব্র্যান্ড নামে এই টিকা ভারত-সহ গোটা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ গ্রহণ করেছেন। তাহলে এখন কী হবে?

Covishield: কোভিশিল্ড নিয়েছেন, হয়নি তো এই বিরল রক্তের ব্যাধি? কপালে ভাঁজ গবেষকদের
কোভিশিল্ড উসকে দিচ্ছে ভিআইটিটি হও.য়ার সম্ভাবনাImage Credit: Twitter
| Updated on: May 16, 2024 | 3:50 PM
Share

ক্যানবেরা: সপ্তাহখানেক আগেই বিশ্বব্যাপী তাদের করোনভাইরাস টিকা প্রত্যাহার করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তাদের দাবি, এখন আর এই টিকা বিশেষ বিক্রি হচ্ছে না। আর বাজারে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিকল্প টিকা রয়েছে। তবে, তার আগেই তারা স্বীকার করেছিল, তাদের এই টিকার কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ বা টিটিএস (TTS) নামে এক বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। এই রোগে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। এবার এক নতুন গবেষণায় দেখা গেল, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে আরও এক বিরল রক্ত জমাট বাঁধার ব্যাধি হতে পারে, ‘ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া এবং থ্রম্বোসিস’ বা ভিআইটিটি (VITT)। কোভিশিল্ড (Covishield) ব্র্যান্ড নামে এই টিকা ভারত-সহ গোটা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ গ্রহণ করেছেন। তাহলে এখন কী হবে?

কোভিশিল্ড নিয়ে সাম্প্রতিকতম এই গবেষণাটি করেছেন, অস্ট্রেলিয়ার ‘ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটি’র বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি, ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে’ তাঁদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। তাঁদের মতে, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন, ২০২১ সালে ভিআইটিটি রোগের আবির্ভাব ঘটেছিল। বিশেষ করে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে অ্যাডিনোভাইরাস ভিত্তিক ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল সেই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, রক্তের এক ক্ষতিকারক অটোঅ্যান্টিবডি থেকে ভিআইটিটি হয়। এই ক্ষতিকারক অটোঅ্যান্টিবডি, ‘প্লেটলেট ফ্যাক্টর ৪’ নামে এক ধরনের প্রোটিনের ক্ষতি করে।

অনেক ক্ষেত্রে, মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এক ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যা ভুলবশতঃ শরীরের সুস্থ কোষ ও কলাগুলিকে আক্রমণ করে। সুস্থ কোষ-কলাগুলিকেও তারা বাইরে থেকে আসা কোনও রোগ-জীবাণু বলেই মনে করে। এই ধরনের অ্যান্টিবডিগুলিকে, অটোঅ্যান্টিবডি বলে। শরীরের নিজস্ব কলাগুলিকে নিশানা করতে করতেই এই অ্যান্টিবডিগুলি, অটোইমিউন রোগ সৃষ্টি করে। সেই ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরের সুস্থ কোষ এবং কলাগুলিরই ক্ষতি করে। অটোইমিউন রোগে আক্রান্তদের রক্তে ডি-ডাইমার নামক একটি পদার্থের মাত্রা অত্যন্ত বেড়ে যায়। যার ফলে, তাদের মস্তিষ্কে বা পেটে রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

ফ্লিন্ডার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, প্রাকৃতিকভাবে অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ হলে প্লেটলেট ফ্যাক্টর ৪ অ্যান্টিবডিতে এক বিশেষ ধরনের আণবিক স্বাক্ষর দেখা যায়। ভ্যাকসিন থেকে যে ভিআইটিটি হয়, সেই ক্ষেত্রেও একেবারে অভিন্ন আনবিক স্বাক্ষর দেখা যায়। অর্থাৎ ভাইরাস এবং ভ্যাকসিন, উভয়ই ক্ষতিকারক অ্যান্টিবডিগুলির প্রতিক্রিয়াকে উসকে দেয়। একই রকম জেনেটিক রোগের ঝুঁকি তৈরি করে।

এ তো গেল গবেষণার কচকচি। আসল প্রশ্ন হল, আমাদের কোনও চিন্তার কারণ আছে? যারা যারা কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছেন, তাদের কি হঠাৎ করে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে? ‘আমেরিকান সোসাইটি অব হেমাটোলজি’ জানিয়েছে, কোভিশিল্ড থেকে যে ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া (VITT) হয়, তা সাধারণত টিকা নেওয়ার ৪ থেকে ৪২ দিনের মধ্যে ঘটে। ভারতে অধিকাংশ ব্যক্তির কোভিশিল্ড টিকা নেওয়ার পর, বেশ কয়েক মাস (অনেকের ক্ষেত্রে বছর) কেটে গিয়েছে। অতএব, চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে সাবধানের মার নেই। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভিআইটিটি-র লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে প্রবল মাথাব্যথা, দৃষ্ঠির পরিবর্তন, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি, পিঠে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পায়ে ব্যথা হওয়া বা ফুলে যাওয়া এবং সহজেই ছড়ে যাওয়া বা রক্তপাত হওয়া। কাজেই, এই ধরনের কোনও লক্ষণ শনাক্ত করতে পারলে, শিগগির চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।