Bangladesh: সেই হাসিনার দেখানো পথেই ইউনূস, বাংলাদেশিরা যেতে পারবেন না এই দেশে…
Bangladesh: বাংলাদেশের পাসপোর্টে এল বড় বদল। পুনরায় যোগ করা হল ‘এক্সসেপ্ট ইজরায়েল’ শব্দ। রবিবারই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা: সরকার বদলাল, ফিরল পুরনো নিয়মই। শেখ হাসিনার দেখানো পথেই হাঁটলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের পাসপোর্টে এল বড় বদল। পুনরায় যোগ করা হল ‘এক্সসেপ্ট ইজরায়েল’ শব্দ। রবিবারই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। ‘এক্সসেপ্ট ইজরায়েল’ শব্দের অর্থ কী? কেনই বা তা যোগ করা হল বাংলাদেশের পাসপোর্টে?
ইজরায়েল প্যালেস্তাইনের উপরে, বিশেষ করে গাজা স্ট্রিপে যে হামলা চালাচ্ছে, তার প্রতিবাদ-নিন্দায় সরব বাংলাদেশ। নিজেদের কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করতেই পাসপোর্টেও এই শব্দবন্ধ যোগ করা হল। বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন ইজরায়েলে না যান, তার জন্যই এই পদক্ষেপ।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগ যেন এই শব্দবন্ধটি ব্যবহার করে। বিদেশ ভ্রমণের পারমিটে লেখা থাকবে “এই পাসপোর্ট ইজরায়েল ব্যতিত বিশ্বের সমস্ত দেশের জন্য বৈধ”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন, ২০২১ সালে আওয়ামি লীগ সরকার প্রথম “অল কান্ট্রিজ এক্সসেপ্ট ইজরায়েল” শব্দ ব্যবহার করে। পরে পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখার জন্য শব্দবন্ধটি সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার সেই শব্দই ফের ব্যবহার করতে চলেছে পাসপোর্টে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইজরায়েল’ শব্দ পুনর্বহালের দাবিতে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেছিল। সরকারকে এক মাসের সময় বেঁধে দিয়েছিল তারা। গত ১৮ মার্চ দলটি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপিও জমা দেয়। সেই সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইজরায়েল’ পুনর্বহালের দাবি যোক্তিক।
৮ এপ্রিল গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন প্যালেস্তাইন প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিরাট প্রতিবাদ- বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ওই সমাবেশ থেকেও বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইজরায়েল’ লেখার দাবি জানানো হয়। ৯ এপ্রিল একই দাবিতে সমাবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। স্লোগান ওঠে ফ্রি প্যালেস্তাইন। খালেদা জিয়ার দল বিএনপি-ও এর সমর্থন জানিয়েছিল।





