বেজিং: পৃথিবীর প্রতিটি কোণাই কি উন্মোচন করে ফেলেছে মানবজাতি? এতদিন বিজ্ঞানী, গবেষকরা দাবি করেছিলেন যে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণাই উন্মোচন করা হয়ে গিয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের এই দাবিকে মিথ্যা করে দিয়েছে এক বিশালাকার গর্ত বা সিঙ্কহোল। ওই গর্তের ভিতরেই লুকিয়ে রয়েছে অন্য় এক জগৎ। সেখানে মিলেছে প্রাণের খোঁজ। ছবি: টুইটার
এত দিন এই জগৎ লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিল। ওই গর্তের ভিতরে রয়েছে বেশ অন্য ধরনের গাছ, যার উচ্চতা প্রায় ১৩০ মিটার অবধি। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই সিঙ্কহোলের ভিতরে খোঁজ মিলতে পারে নতুন কোনও প্রজাতিরও। ছবি: টুইটার
সম্প্রতিই বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ চিনের গুয়াংশি অঞ্চলে একাধিক বিশালাকার গর্তের খোঁজ মিলেছে। তার মধ্যে যে গর্তটি সবথেকে বড়, তার ভিতরে রয়েছে বহু নতুন ধরনের গাছপালা। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই সিঙ্কহোলের ভিতরে নতুন ধরনের কোনও প্রজাতির গাছ বা প্রাণীর খোঁজ মিলতে পারে। ছবি: টুইটার
ওই সিঙ্কহোলের ভিতরেই তিনটি গুহা রয়েছে, একদম নীচে রয়েছে একটি জঙ্গল। এই জঙ্গলেই নতুন প্রাণের খোঁজ মিলতে পারে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানী-গবেষকরা। ইতিমধ্য়েই সিঙ্কহোলের ভিতরে ঘুরে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: টুইটার
গবেষক দলের প্রধান চেন লিক্লিন বলেন, "যদি এই গুহাগুলির ভিতরে নতুন কোনও প্রাণের খোঁজ মেলে, তবে আমরা অবাক হব না। এর আগে কখনও এই ধরনের গুহার খোঁজ মেলেনি।" ছবি: টুইটার
বিজ্ঞানীদের দাবি, এই গর্তটি বাকি সিঙ্কহোলের তুলনায় আলাদা। কারণ এখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করত, যে কারণে গাছপালা গজিয়ে উঠেছে। ছবি: টুইটার
উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিনে গুয়াংশি প্রদেশে এই ধরনের একাধিক সিঙ্কহোল বা গর্তের খোঁজ মিলেছে আগেও। কিন্তু সেই গর্তের ভিতরে যে জঙ্গল থাকতে পারে, তা কল্পনাও করা যায়নি। ছবি: টুইটার