লন্ডন : ইংল্যান্ডের রানির থেকেও ধনী তাঁর স্ত্রী। তিনি নিজে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। সেই ঋষি সুনকই এখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে। তবে তাঁর সেই দৌড়ে একের পর এক বাধা আসছে। বহু পুরোনো ভিডিয়ো থেকে শুরু করে তাঁর স্ত্রীর কাপের সংগ্রহ, সব কিছু নিয়েই সমালোচিত হচ্ছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তবে তিনি ‘Ready for Rishi’ বলে নিজের দৌড় অব্যাহত রেখেছেন। তবে সেই দৌড়ে নয়া বাধা বানানের ভুল। ঋষির প্রচার পোস্টারে ‘campaign’ বানানটি ভুল। সেখানে লেখা – ‘campiagn’। আর এই নিয়ে ‘ট্রোল’ করা হচ্ছে ঋষি সুনককে। টুইটারে নেটিজ়েনরা কটাক্ষে ভরিয়ে দিয়েছে ঋষিকে। তবে এই সব ‘ট্রোল’ নিয়ে ঋষি সুনকের মাথা ব্যথা নেই। বরং তিনি একের পর এক ভোটে জিতে চলেছেন।
উল্লেখ্য, ঋষি গত ৮ জুলাই ঘোষণা করেন যে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা তথা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নাম লেখাচ্ছেন। এহেন ঋষিকে কটাক্ষ করে এখন অনেকেই টুইটে লিখছেন, ‘রেডি ফর স্পেলচেক’, অর্থাৎ, ‘বানান দেখে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত’। ঋষির নির্বাচনী স্লোগানের অনুকরণেই এই ট্যাগলাইন তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, সাজিদ জাভিদের সঙ্গে ঋষি সুনকের পদত্যাগের পরই টালমাটাল পরিস্থিতি হয়েছিল বরিস জনসনের। পরে চাপের মুখে তাঁকে পদত্যাগের ঘোষণা করতে হয়। এই আবহে বরিস জনসন নাকি নিজের সমর্থকদের বলেছেন, আর যাকেই প্রধানমন্ত্রী করা হোক, ঋষি সুনক যাতে সেই পদে না বসেন।
এদিকে করোনা অতিমারির সময় ঋষির কর নীতির সলামোলচনার মুখে পড়েছে। এদিকে তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি ব্রিটিশ নাগরিক না হওয়ার কারণে কর দেন না সেদেশে। যা নিয়ে ‘কর ফাঁকি’র অভিযোগ উঠেছে। তবে তা সত্ত্বেও নিজের দলের সাংসদদের সমর্থন পাচ্ছেন ঋষি। নেতা নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ঋষির ঝুলিতে সর্বোচ্চ ১০১টি ভোট গিয়েছে। তাঁর পরেই তালিকায় আছেন বাণিজ্য মন্ত্রী পেনি মোরডন্ট। তিনি পেয়েছেন ৮৩ ভোট। তবে ঋষির জন্য লড়াই এখনও কঠিন। বর্তমানে এই দৌড়ে রয়েছেন পাঁচজন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই সংখ্যা নেমে আসবে দুইয়ে। এরপর আগামী ৫ সপ্টেম্বর কনজারভেটিভ পার্টির সকল সদস্যরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন কনজারভেটিভ পার্টির নয়া নেতাকে। সেই নয়া নেতাই হবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।