কলম্বো: বেশ কয়েকমাস ধরে আর্থিক সংকটের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। আর্থিক সংকটের মুখে লাগামছাড়াভাবে বেড়েছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। বাড়াতে থাকা বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। শুক্রবার দেশের রাষ্ট্রপতি পদ থেকে গোতাবায়ার ইস্তফার পর প্রবাসী শ্রীলঙ্কানরা দেশের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মার্কিন ডলার পাঠাতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই টুইটারে #SriLankaDollarChallenge হ্যাশট্যাগ জনপ্রিয় হয়েছে। শ্রীলঙ্কার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক প্রবাসী শ্রীলঙ্কানদের আইনি দিক মাথায় রেখে সরকারি ব্যাঙ্কিং চ্যানেল ব্যবহার করে টাকা পাঠানোর আবেদন জানিয়েছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই খবর। বিগত ২৪ ঘণ্টায় প্রবাসী শ্রীলঙ্কানদের অনেকেট টাকা পাঠানোর রসিদ সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে বাকিদেরও দেশের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। একজন নেটিজ়েন বলেন, “প্রতিশ্রুতি আমরা মাতৃভূমির পাশে থাকতে সব রকমের চেষ্টা করব।”
দেশকে নতুন করে তৈরি করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রবাসী শ্রীলঙ্কানরা। ইমেল মারফত গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার পরই বিভিন্নভাবে সংকটে থাকা দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা। গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার পর সংসদ কর্তৃক পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া অবধি রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকে কার্যনিবাহী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংসদের অধ্যক্ষকে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে সর্বদল বৈঠকের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে পরবর্তী প্রেসিডেন্টের নাম চূড়ান্ত করার আবেদন জানিয়েছেন। ২০ জুলাই থেকে ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের থেকে একজনকে আগামী ২ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেবে দ্বীপরাষ্ট্রের সংসদ।
২ কোটি ২০ লক্ষ জনসংখ্যার শ্রীলঙ্কাতে স্বাধীনতার পর থেক নজিরবিহীন আর্থিক সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দেশের খাবার, ওষুধ, জ্বালানির মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে। এর আগেই প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে জানিয়েছিলেন, বিদেশী মুদ্রার ঘাটতির কারণেই দেশে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারতের প্রতিবেশী দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। প্রবাসী শ্রীলঙ্কানদের পাঠানো অর্থ দিয়ে দেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।