প্যারিস: সোমবার আস্থা ভোটের মুখে পড়েছিলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন। বাম মনোভাবাপন্ন বিরোধীদের আনা আস্থা ভোটে। মসৃণভাবে আস্থা ভোটে জয় হাসিল করেছেন বোর্ন। সংসদে ভোটাভুটির পর দেখা গিয়েছে, বাম মনোভাবাপন্ন দলের আনা প্রস্তাবকে ১৪৬ জন সমর্থন জানিয়েছেন। সরকারের পতনের জন্য ২৮৯টি ভোটের প্রয়োজন ছিল, সেই সংখ্যার ধারে কাছেও আসতে পারেনি বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব। তবে ভোটের ফল বিরোধী নুপেস জোটের পক্ষে খানিকটা সন্দেহজনক বলেই মনে করছে সেদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ফ্রেঞ্চ রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিরোধীদের জন্য এই ফল আগামী দিনে অস্বস্তিদায়ক হতে পারে।
নুপেস জোটের ১৫১ জন সাংসদ থাকলেও তাদের মধ্যে ৫ জন অনাস্থা প্রস্তাবে পক্ষে ভোটদানে বিরত ছিলেন, যা বোর্ন সরকারের পক্ষে নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা। সংসদে আস্থা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন বলেন, “ফ্রেঞ্চ নাগরিকরা যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন সেই নিয়ে আমাদের আলোচনা করা উচিত ছিল, কিন্তু তার বদলে আমরা অনাস্থা ভোট করছি, যা সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক। অনাস্থা ভোট সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।” অন্যদিকে অনাস্থা ভোটের আগে নুপেস জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দ্য ফ্রান্স আইবোড গ্রুপের প্রধান ম্যাথিল্ড প্যানোট বলেন, “মাননীয় বোর্ন, আপনি নিজেই একটি গণতান্ত্রিক অসঙ্গতি। আপনার কোনও রাজনৈতিক বৈধতা নেই। যাঁরা এই অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোটদানে বিরত থাকবে, তাঁরা আপনার নীতির সমর্থক”
সংসদের নিম্নকক্ষে সহজেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরও পুনর্নির্বাচিত হওয়া ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জুন মাসেই সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। আইনসভা নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন ম্যাক্রোঁ। পরিস্থিতি ম্যাক্রোঁর হাত থেকে অনেকটাই বেরিয়ে গিয়েছে, সেই কারণ বিল ভিত্তিক আলোচনায় যেতে বাধ্য হচ্ছে তাঁর সরকার। রক্ষণশীল লেস রিপাবলিকান পার্টি এবং মেরিন লে পেনের ডানপন্থী রাসেম্বলমেন্ট ন্যাশনাল আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা আস্থা ভোটে বিরত থাকবে। অনাস্থা ভোট শেষে আবার দ্রুত সংসদ অধিবেশন শুরু হবে এবং মুদ্রাস্ফীতি রোধে ২০ মিলিয়ন ইউরোর বিশেষ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা হবে।