জেরুসালেম: কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে গোলা-গুলির শব্দ। বাতাসে বইছে বারুদের গন্ধ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েলের অবস্থা এখন এমনই। গত শনিবার ইজরায়েলে প্যালেস্টাইনপন্থী হামাস গোষ্ঠীর অতর্কিত হামলা এবং তার জবাবে গাজায় ইজরায়েলের পাল্টা হামলার জেরে, নতুন করে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। আর সে দেশে আটকে প্রচুর ভারতীয়। বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি রয়েছেন বাংলার বাসিন্দারাও। ঠিক কীসের টানে ভারতীয়রা ইজরায়েলে যায় জানেন?
কী সুবিধা পেয়ে থাকেন ভারতীয়রা?
জানা গিয়েছে, ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধে প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় সেখানে আটকে রয়েছেন। যার মধ্যে পড়ুয়া থেকে শুরু করে কেয়ার গিভারের কাজ করা মানুষজনও রয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৯০০ ভারতীয় ছাত্র ইজরায়েলে পড়াশোনা করছেন। এর পাশাপাশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা সেখানে প্রায় ৮৫ হাজার। এদের মধ্যে অনেকেরই ইসরায়েলের নাগরিকত্ব রয়েছে। গত ৯ মে ভারতের সঙ্গে সে দেশের একটি চুক্তি হয়। যেখানে বলা হয় ৪২ হাজার ভারতীয়কে ‘কেয়ার-গিভার’-এর চাকরি দেওয়া হবে।
কেয়ার গিভারের চাকরি কী?
ইকোনমিক কমিশন ফর ইউরোপের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৫০ সালের পর থেকে ইজরায়েলে বেড়েছে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা। যাঁদের বয়স প্রায় ৬৫ উর্ধ্বে। এই বয়স্ক মানুষদের দেখভালের জন্য ‘কেয়ার-গিভার’-দের নিযুক্ত করেন সে দেশের নাগরিকরা। আর এই কাজ করার জন্য প্রচুর ভারতীয় সেখানে যান। বয়স্ক মানুষদের দেখাশোনা করেন।
কত বেতন কেয়ার-গিভারদের?
এই কাজের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে থাকেন ইজরায়েলিরা। বেতন হিসাবে মাসে দেওয়া হয় তিন লক্ষ টাকা। এছাড়াও ওভার টাইম কাজের জন্য অতিরিক্ত আরও টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি থাকা খাওয়া ও চিকিৎসার খরচ আলাদা করে দেওয়া হয়।
কী-কী যোগ্যতা থাকতে হবে?
ইজরায়েলে কেয়ার গিভার হওয়ার জন্য নার্সিংয়ে স্নাতক হতে হবে এমন কোনও বাধ্য-বাধ্যকতা নেই। এনএম এবং জিএনএম কোর্স যাঁরা করেছেন তাঁরা এই কাজে আবেদন করতে পারবেন।
তবে শুধু ভারত থেকেই নয়, কেয়ার গিভারের কাজ করেন শ্রীলঙ্কা ও নেপাল থেকে আসা প্রচুর মানুষ।