‘১৫ মিনিটেই তছনছ হয়ে গেল সবকিছু’, ভয়াবহ বন্যায় মৃত কমপক্ষে ১০৮, নিখোঁজ কয়েক হাজার

Germany Flood: রাস্তা থেকে জল নামতেই দেখা যায়, উল্টে বা কাদায় সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে গাড়িগুলি। স্থানীয় এক যুবক বলেন, "প্ল্যাট, অফিস, আশেপাশের বাড়ি, সমস্ত কিছুই মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়। গাছ উপড়ে গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বাড়ি।"

১৫ মিনিটেই তছনছ হয়ে গেল সবকিছু, ভয়াবহ বন্যায় মৃত কমপক্ষে ১০৮, নিখোঁজ কয়েক হাজার
বন্যায় ডুবে গিয়েছে একের পর এক গ্রাম। ছবি:PTI

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 17, 2021 | 12:18 PM

জার্মানি: মাত্র ১৫ মিনিট। চোখের নিমেষে ডুবে যেতে দেখা গেল ঘরবাড়ি, গাড়ি- সমস্ত কিছুই। ভয়াবহ বন্যায় ভেসে গিয়েছে সমস্ত কিছুই। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০৮ জনের, নিখোঁজ কয়েক হাজার মানুষ। জার্মানি(Germany)-র এই বন্যাকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে “মৃত্যুর বন্যা” (Flood of Death) হিসাবে।

ইউরোপের অধিকাংশ জায়গা জুড়েই বন্যা হলেও সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিম জার্মানি। শুক্রবারের প্লাবনে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে একাধিক গ্রাম। যোগাযোগ স্থাপনও করা যাচ্ছে না সেখানে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, আচমকা যে বন্যা আসতে পারে এবং তার রূপ এতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তারা।

এ দিন সকালেও জার্মানির অধিকাংশ লোকালয়ই জলের তলায় ছিল। রাস্তা থেকে জল নামতেই দেখা যায়, উল্টে বা কাদায় সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে গাড়িগুলি। স্থানীয় এক যুবক বলেন, “প্ল্যাট, অফিস, আশেপাশের বাড়ি, সমস্ত কিছুই মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়। গাছ উপড়ে গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বাড়ি।” আরেক বাসিন্দা জানান, তিনি বিগত ২০ বচর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করলেও কখনও এইরকম ভয়াবহ কিছু দেখেননি। জল নামার পর গোটা এলাকা কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নিয়েছে।

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই খোঁজ চলছে পরিজনদের। ছবি: PTI

ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। বন্যায় এখনও অবধি দেশে ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জল নামলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ দিকে, বন্যার পরই ধস নেমেছে উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া অঞ্চলে। বেলজিয়াম প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে, সেখানে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২১ হাজারেরও বেশি মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

মার্কিন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করার পর বলেন, “আমার ভয় লাগছে যে আগামিদিনে আমাদের এই ধ্বংসলীলার আরও ভয়াবহ রূপ না দেখতে হয়। যারা এই বিপর্যয়ে নিজেদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।” আরও পড়ুন: ‘আমরা দুঃখিত’, চিত্র সাংবাদিক দানিশের মৃত্যুতে দায় এড়াল তালিবান