Fingerprint Scanner: স্কুলের শৌচাগারের বাইরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তুমুল সমালোচনা

biometric system: এবিসি নিউজে প্রকাশিত হয়েছে ওই স্কুলের বেশিরভাগ ছাত্রই ক্লাস চলাকালীন শৌচগার ব্যবহারের জন্য স্ক্যানারে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নথিভুক্ত করেছেন।

Fingerprint Scanner: স্কুলের শৌচাগারের বাইরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তুমুল সমালোচনা
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2022 | 6:10 PM

সিডনি: স্কুলেই পড়াশুনো শেখানোর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সহবতও শেখান হয়ে থাকে। তবে হাইস্কুলের শৌচাগার ব্যবহারের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ জারি করার কথা সচরাচর শোনা যায়না। অস্ট্রেলিয়ার এক হাইস্কুলে কর্তৃপক্ষের তরফে জারি হওয়া বিধিনিষেধ নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভাঙচুর রুখতে স্কুলের শৌচাগারের বাইরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার বসিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় শহর সিডনির মুনব্যাঙ্ক হাইস্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের শৌচাগারের বাইরে জুন মাসেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার বসানো হয়েছিল। তবে সম্প্রতি স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল ভ্যালি গ্রেগো চিঠি লিখে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের একথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ক্লাস চলকালীন পড়ুয়াদের কার্যকলাপ নজরে রাখার জন্য এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।

চিঠিতে অভিভাবকদের ভাইস প্রিন্সিপাল লিখেছেন, “বাইরে থাকা তিনটি পড়ুয়াদের শৌচাগারে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার বসানো থাকবে। ক্লাস চলাকালীন ছাত্রদের গতিবিধি নজরে রাখতে এবং ভাঙচুর রুখতে এই পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। এরপর আমরা শৌচগারগুলির মানোন্নয়ন করব।”

এবিসি নিউজে প্রকাশিত হয়েছে ওই স্কুলের বেশিরভাগ ছাত্রই ক্লাস চলাকালীন শৌচগার ব্যবহারের জন্য স্ক্যানারে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নথিভুক্ত করেছেন। সব মিলিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ১ হাজার। যদিও স্কুল শিক্ষা দফতরের মুখপাত্র জানিয়েছেন এই পদ্ধতি দেশের সব স্কুলে বাধ্যতামূলক নয়। তিনি বলেন, “যদি পড়ুয়া অথবা অভিভাবকরা চাইলে অ্যাক্সেস কার্ডের মাধ্যমে শৌচগার ব্যবহার করতে পারেন।” তবে স্কুলের শৌচগার ব্যবহারে এরম নিয়ম শুরুর সিদ্ধান্তে অভিভাবকদের অনেকের সরব হয়েছেন। তাদের দাবী কারও গোপনীয়তায় এভাবে হস্তক্ষেপ করা যায় না। অভিভাবকদের অনেকের অভিযোগ স্কুলের তরফে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে না। একজন অভিভাবক বলেন, “এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। যেভাবে আমাদের সন্তাদের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের।”