সুইৎজ়ারল্যান্ড: চলন্ত ট্রেন হাইজ্যাক! বন্দি যাত্রীরা। কীভাবে ট্রেন থেকে উদ্ধার করা যায় যাত্রীদের, তা নিয়ে চরম উত্তেজনা। টানটান ৪ ঘণ্টা ধরে প্রচেষ্টা চালানোর পর ট্রেন থেকে ১৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত অপহরণকারীর মৃত্যু হয়েছে বলেই পুলিশের দাবি। বৃহস্পতিবার রাতে সুইৎজ়ারল্যান্ডে একটি ট্রেনে এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম সুইৎজ়ারল্যান্ডের ইভেরডন থেকে সেইন্ট ক্রইক্সগামী ট্রেনে এই ঘটনাটি ঘটে। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ এক ব্যক্তি কুঠার ও ছুরি নিয়ে ট্রেনে ওঠেন এবং যাত্রীদের ভয় দেখাতে শুরু করেন। ট্রেন থেকেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ফার্সি ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি জোর করে ট্রেনটিকে ইভেরডনের কাছে দাঁড় করান। সেখানেই পৌঁছয় পুলিশ। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পুলিশ অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। ফার্সি ভাষায় দক্ষ একজন দোভাষীকেও আনা হয় সাহায্যের জন্য।
প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে বন্দিদের মুক্ত করানোর চেষ্টা করে, কিন্তু কিছুতেই অভিযুক্ত রাজি হচ্ছিল না। শেষে পুলিশ ট্রেনের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে, অভিযুক্ত কুঠার নিয়ে তেড়ে আসে। নিজেকে বাঁচাতেই এক পুলিশকর্মী গুলি চালান। ওই গুলির আঘাতেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
হামলাকারীর মৃত্যুর পর, রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ ট্রেন থেকে বন্দি কন্ডাক্টর ও যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। যে ১৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে, তারা অক্ষতই ছিলেন। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কয়েকজন অপরাধী একটি অফিসে ঢুকে দুই কর্মী ও এক দম্পতিকে বন্দি বানিয়ে লুটপাট করার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। লুট না করেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তার আগে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসেও একটি নামী ঘড়ি সংস্থার ডিরেক্টর ও তাঁর পরিবারকে বন্দি বানিয়ে সোনা-দানা লুট করে ফ্রান্সে পালিয়ে গিয়েছিল অপহরণকারীরা।