ইজরায়েল: ইজরায়েলের ওপর হামাসের এত বড় হামলা কিন্তু বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। মূল প্রশ্ন হামাস জঙ্গিরা কীভাবে ইজরায়েলে ঢুকতে সফল হল? ইজরায়েলে রকেট হামলা চালালেও সীমান্ত পেরিয়ে না ঢুকলে কিন্তু পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হত না। আসলে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধেই ইজরায়েলের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করার ছক কষেছে হামাস, এমনটাই খবর সূত্রের। যার জন্য প্রথম আক্রমণ করা হয়েছিল ইজরায়েলের বহু চর্চিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রনডোমে। আর সেই ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পরই ইজরায়েলে মাটি ধ্বংসের ঝড় তোলে হামাস। সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয়, যে নিরাপত্তা ঢালকে ইজরায়েল দুর্ভেদ্য বলে মনে করতো, তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছিল।
ইজরায়েলের শক্তিশালী ডিফেন্স সিস্টেম আয়রন ডোমকে খান খান করে হামলা চালিয়েছিল হামাস। ভেঙে পড়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৈরি নিরাপত্তা প্রাচীরও। সব মিলে ইসরায়েলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। আর এই গোটা কাণ্ডটা মাত্র ২০ মিনিটে করে দেখায় হামাস। ব্যর্থ হয় মোসাদ। গোটা অপারেশন নিয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে মোসাদ। কাজ করেনি আয়রন ডোম ডিফেন্স সিস্টেম। ধ্বংস নজরদারি ব্যবস্থা।
সাধারণভাবে হামলা রুখতে ইজরায়েল ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা বলয় তৈরি রয়েছে। প্রথম স্তরে কংক্রিটের দেওয়াল। দ্বিতীয় স্তরে লেজারের ফেন্সিং। আর তৃতীয় স্তরে ইজরায়েল রেখেছিল বিশ্বের সেরা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আয়রন ডোম। যার প্রতিটি হামলার পরিস্থিতিতে সবার আগে সক্রিয় হওয়ার কথা। গাজা স্ট্রিপ ছাড়া ইজরায়েল সীমান্তের বাকি অংশেও ২০ মিটার উচু লেজার ফেন্সিং লাগানো রয়েছে। ১০৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। মিশর, জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন এবং প্যালেস্টাইনের সাথে সীমানা ভাগ করে ইজরায়েল। যার মধ্যে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের ৭০৮ কিলোমিটার এবং গাজা স্ট্রিপের ৬০ কিলোমিটারে কংক্রিট দেওয়াল এবং লেজার ফেন্সিং দুটোই রয়েছে। এই দেওয়াল মাটি থেকে ২০ মিটার উঁচু। মাটির নিচে রয়েছে ৩ মিটার পর্যন্ত।
এই দেওয়ালে হাই রেজিলিউশনের ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা এবং অটোমেটিক মেশিন গান লাগানো রয়েছে। ফেন্সিং এবং দেওয়ালের মাঝে রয়েছে রেডারও। অর্থাৎ, স্থলপথে হামাস হামলা চালাতে গেলে সেকেন্ডের ভেতর তা খুঁজে বার করে নিজে থেকেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে ডিফেন্স সিস্টেম।