Human Evolution: এ যে ভয়ঙ্কর! জানেন ৩০০০ সালে কেমন দেখতে হবে মানুষ?
How humans may evolve in the year 3000, the image of future man Mindy
ওয়াশিংটন: বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি। স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়েই দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় অধিকাংশ মানুষের। অনলাইন কেনাকাটা, সোশ্যাল মিডিয়া চর্চা থেকে অফিসে কাজ করা – সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি ছাড়া গতি নেই। কিন্তু, অনেকের মতে, এই প্রযুক্তি নির্ভরতা মানব সভ্যতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বদলে যেতে পারে মানুষের গঠনও। টোল ফ্রি ফরোয়ার্ডিং নামে এক সংস্থার গবেষকরা ৩০০০ সাল নাগাদ মানুষের চেহারা কীভাবে বিবর্তিত হতে পারে, তার একটি মডেল তৈরি করেছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছ ‘মিন্ডি’ । আসুন দেখে নেওয়া যাক, তাদের ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হলে, মানবজাতির জন্য ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে।
ধনুকের মতো বাঁকা পিঠ
গবেষকদের মতে, আধুনিক প্রযুক্তিগত পণ্যগুলির নকশা এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের অভ্যাস, ভবিষ্যতে বড় প্রভাব ফেলবে। স্মার্টফোন, কম্পিউটার মনিটরের সামনে আমরা কেমনভাবে বসি, দাঁড়াই, তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে আমাদের চেহারার উপর। এর জন্য পিঠ ধনুকের মতো বেঁকে যেতে পারে।
‘টেক্সট থাবা’
মিন্ডির বাহুতে দুটি উল্লেখযোগ্য শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। এগুলো সরাসরি স্মার্টফোন ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের মতে, ক্রমাগত ফোন আঁকড়ে ধরার কারণে মানুষের আঙ্গুলগুলিকে কুঁচকে গিয়ে ‘টেক্সট ক্ল’ বা টেক্সট থাবা তৈরি হবে।
৯০-ডিগ্রি বাঁকা কনুই
সেই সঙ্গে তৈরি হবে ‘স্মার্টফোন কনুই। স্মার্টফোন ধরে রাখা এবং ব্যবহার করার সময় হাতের সাধারণ অবস্থানের কারণে কনুই চিরতরে ৯০ ডিগ্রি কোনে বেঁকে যাবে।
‘প্রযুক্তি ঘাড়’
গবেষকদের মতে স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে তাকিয়ে মিন্ডির ঘাড় চিরতরে বেঁকে যেতে পারে। যাকে তাঁরা ‘টেক নেক’ বা ‘প্রযুক্তি ঘাড়’ নাম দিয়েছেন।
মাথার খুলি মোটা
গবেষকদের দাবি, এটাও হবে মূলত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে। স্মার্টফোন থেকে যে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি বিকিরণ হয়, তা মস্তিষ্কের সংস্পর্শে এলে গুরুতর স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হতে পারে বলে ক্রমে উদ্বেগ বাড়ছে। এই ক্ষতির মোকাবিলা করার জন্য মাথার খুলি আরও মোটা হয়ে যেতে পারে।
ছোট মস্তিষ্ক
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, মিন্ডির চেহারার শেষ পরিবর্তনটি খালি চোখে দেখা যাবে না। তাদের দাবি, প্রযুক্তি শুধু মাথার খুলি মোটা করবে না, আমাদের মস্তিষ্কের আকারও পরিবর্তন করতে পারে। মস্তিষ্ক আকারে ছোট হয়ে যেতে পারে।