Srilanka: শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকে উদ্ধার লাখ লাখ নগদ টাকা জমা পড়ল আদালতে

Colombo: রাজাপক্ষের বাসভবন থেকে সেই সময় ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার শ্রীলঙ্কার রুপি উদ্ধার হয়েছিল। ভারতীয় মুদ্রায় সেই অঙ্কের হিসেব প্রায় ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।

Srilanka: শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকে উদ্ধার লাখ লাখ নগদ টাকা জমা পড়ল আদালতে
ছবি সৌজন্যে : টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2022 | 3:19 PM

কলম্বো : শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতবায় রাজাপক্ষের বাসভবন থেকে উদ্ধার হয়েছিল লাখ লাখ নগদ অর্থ। এবার সেই অর্থ আদালতের কাছে তুলে দিল শ্রীলঙ্কার পুলিশ। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ওই বিশাল অঙ্কের শ্রীলঙ্কার রুপি উদ্ধার হয়েছিল। জুলাই মাসের শুরুর দিকে মধ্য কলম্বোয় রাজাপক্ষের বাসভবন চত্বরে কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা এলাকায় ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা। এমন এক পরিস্থিতিতে ১৩ জুলাই শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান এবং মালদ্বীপে গিয়ে আশ্রয় নেন।

পরে সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে চলে গিয়েছিলেন তিনি এবং সিঙ্গাপুর থেকেই ই-মেল মারফত তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর বাসভবনের দখল নিয়েছিলেন উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা। রাজাপক্ষের বাসভবন থেকে সেই সময় ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার শ্রীলঙ্কার রুপি উদ্ধার হয়েছিল। ভারতীয় মুদ্রায় সেই অঙ্কের হিসেব প্রায় ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। পরে সেই টাকা শ্রীলঙ্কার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল এবং পুলিশ শুক্রবার তা আদালতে জমা দেয়।

কলম্বো সেন্ট্রাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ সুপার ওই অর্থ শুক্রবার ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জমা দেন। কিন্তু ওই বিশাল অঙ্কের অর্থ জমা দিতে কেন তিন সপ্তাহ দেরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আদালতের বিচারক। কেন এই টাকা জমা দিতে দেরি হল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও আদালতে জমা দেওয়ার জন্য পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর জন্য স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের ডিরেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক এবং তাঁকে সবরকমভাবে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত,  শ্রীলঙ্কা সাম্প্রতিক কালে এক ভয়ঙ্কর আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে শ্রীলঙ্কা সরকার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে এবং আন্তর্জাতিক ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়।