ঢাকা: এর আগে তিনি বলেছিলেন, হাসিনা দিল্লিতে থাকলেও, সেটা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে বাধা হবে না। তবে বুধবার (১৪ অগস্ট), বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাফ জানিয়ে দিলেন, ভারতে বসে যদি শেখ হাসিনা একের পর এক বিবৃতি দিয়ে যান, তাহলে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষতি হবে। এদিন, ভারতীয় হাইকমিশনার, প্রণয় ভার্মাকেও তিনি এই কথা বলেছেন বলে জানান বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমি বলেছি এটা সম্পর্কের উন্নয়নে মোটেও সহায়ক হবে না। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বাংলাদেশ সরকারের জন্য অস্বস্তিকর। আমরা চাই তিনি ভারতে বসে যেন এটা না করেন।”
প্রসঙ্গত, ভারতে আসার পর থেকে শেখ হাসিনা দুবার মুখ খুলেছেন। প্রথম বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার পিছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর চক্রান্ত রয়েছে। চট্টগ্রামের কাছে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে তারা বায়ুসেনা ঘাঁটি বানাতে চেয়েছিল। হাসিনা প্রশাসন তাতে রাজি না হওয়ায়, অরাজকতা সৃষ্টি করে হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। হাসিনা বলেছিলেন, তিনি সেই দাবি মেনে নিলে, আজও তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন।
আর মঙ্গলবার, তিনি এক লিখিত বিবৃতিতে দেশবাসীকে ১৫ অগস্ট শোকদিবস পালন করার আহ্বান জানান। দেশবাসীকে তিনি মনে করিয়ে দেন বাংলাদেশের স্বাধীন করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি তথা জাদুঘর পুড়িয়ে দেওয়ার প্রেক্ষিতে, তিনি দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু ও সেই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অবমাননা করা হয়েছে। দেশবাসীর কাছে তিনি এর বিচার চেয়েছিলেন। তাঁর এই সকল বিবৃতিই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অস্বস্তিকর বলে মনে করছে।