নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর), ৪১ দিনে পড়ল ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। তবে, একে এখন আর যুদ্ধ বলা যায় না। গাজা ভূখণ্ডে এক তরফা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। এই পরিস্থিতিতে গাজায় অসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু এড়ানোর ডাক দিল ভারত। এদিন, ফের উত্তজনা কমানোর আহ্বান জানাল ভারত সরকার। দুই পক্ষকেই আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এদিন জানিয়েছেন, ইজরায়েল-হামাস সংঘাতে অসামরিক ব্যক্তিদের হতাহতের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্যালেস্তাইনি জনগণকে আরও মানবিক সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত ভারত। তিনি বলেন, “ভারত ইতিমধ্যে গাজা ভূখণ্ডে ৩৮ টন মানবিক ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। আমরা আরও সাহায্য পাঠানোর রাস্তা খুঁজছি।”
৭ অক্টোবর ইজরায়েলে আকাশ, জল এবং স্থল পথে হামলা চালিয়েছিল হামাস জঙ্গিরা। তারপর থেকে হামাস দমনের নামে গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল। মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এমনকি, হামলার হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতালও। সম্প্রতি গাজা শহরের সবথেকে বড় হাসপাতাল আল-শিফাতেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি বাহিনী। এমনকি, হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। যার জেরে আইসিইউ-সহ হাসপাতালের অধিকাংশ বিভাগ বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
এই বিষয়ে অরিন্দম বাগচি বলেন, “ সমস্যাটি কোনও একটি নির্দিষ্ট হাসপাতাল বা জায়গা সম্পর্কিত নয়। ভারত সর্বদাই অসামরিক নাগরিকদের হতাহত এড়ানোর পক্ষে। ভারত সরকার প্রথম থেকেই মানবিক আইন পালনের জন্য এবং সংঘাতের মধ্যে আটকে পড়া ব্যক্তিদের মানবিক ত্রাণ প্রদানের যে কোনও প্রচেষ্টাকে উত্সাহ দিয়েছে। আমরা বৃহত্তর ক্ষেত্রে, উত্তেজনা কমানো, মানবিক সহায়তা প্রদান, ক্রমবর্ধমান অসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু নিয়ে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।” বুধবার রাতেও আল-শিফা হাসপাতালে তাদের সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি বাহিনীর দাবি, এই হাসপাতালকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস।