Myanmar: সীমান্তে মায়ানমারের যুদ্ধ, ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে শান্তির আহ্বান ভারতের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 16, 2023 | 8:31 PM

India on Myanmar : গত সপ্তাহে মায়ানমারের জুন্টা সরকারের বিরোধী গোষ্ঠীগুলি মিজোরামের সীমান্তবর্তী মায়ানমারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর, সামরিক ঘাঁটি এবং বাণিজ্য রুট দখল করে নিয়েছে। রিখাওদার এলাকাও এখন বিদ্রোহীদের হাতে। সরকারিভাবে ভারত ও ময়ানমারের মধ্যে মাত্র দুটিই স্থল সীমান্ত রয়েছে। তার অন্যতম হল এই রিখাওদার।

Myanmar: সীমান্তে মায়ানমারের যুদ্ধ, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শান্তির আহ্বান ভারতের
ভারতে পালিয়ে আসছেন মায়ানমারের হাজার হাজার নাগরিক, উদ্বেগে ভারত
Image Credit source: AFP and PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: গত কয়েক দিন ধরে মায়ানমারে সেনাবাহিনীর এবং সরকার বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে লড়াইয়ের Aতীব্রতা বেড়েছে। যার জেরে, মায়ানমারের হাজার হাজার নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতের মিজোরামে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বক) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। হিংসা বন্ধ করে গঠনমূলক আলোচনার আহ্বান জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। গত সপ্তাহে মায়ানমারের জুন্টা সরকারের বিরোধী গোষ্ঠীগুলি মিজোরামের সীমান্তবর্তী মায়ানমারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর, সামরিক ঘাঁটি এবং বাণিজ্য রুট দখল করে নিয়েছে। রিখাওদার এলাকাও এখন বিদ্রোহীদের হাতে। সরকারিভাবে ভারত ও ময়ানমারের মধ্যে মাত্র দুটিই স্থল সীমান্ত রয়েছে। তার অন্যতম হল এই রিখাওদার।

এদিন, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, “আমরা মায়ানমারে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে মিজোরামের জোখাওথারের উল্টোদিকে, মায়ানমারের চিন প্রদেশের রিখাওদার এলাকায় তীব্র লড়াইয়ের ফলে, মায়ানমারের নাগরিকরা ভারতে পালিয়ে আসছেন। আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি এই ধরনের ঘটনা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” অরিন্দম বাগচি আরও বলেন, “মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের খুব স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে। হিংসা বন্ধ হোক, এটাই চায় ভারত। আমরা চাই, গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতির সমাধান হোক।”

২০২১ সালে মায়ানমারে সংঘাত শুরুর পর থেকে সেই দেশের বিপুল সংখ্যক নাগরিক ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। ভারতে পাড়ি দেওয়া মায়ানমারের নাগরিকদের সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি অরিন্দম বাগচি। তবে, বিভিন্ন সরকারি রিপোর্টে অনুযায়ী, ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি থেকে কয়েক হাজার মানুষ মিজোরাম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন। অরিন্দম বাগচি বলেন, “মানবিক কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেশী রাজ্যের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক, আমরা তাদের ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিয়েছি।” তিনি আরও জানান, মায়ানমারের জুন্টা সরকারকে ভারত সমর্থন করছে, এই ধারণা ভুল। তিনি বলেন, “বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের সাথে আমাদের সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। মায়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা যে পদক্ষেপই করি না কেন, তা ভারতের স্বার্থে করা। আমরা আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন।”

সোমবার কয়েক ঘণ্টার লড়াইয়ের পর, মায়ানমারের একদল বিদ্রোহী যোদ্ধা রিখাওদারের দুটি সামরিক ঘাঁটি দখল করে নেয়। এই সাম্প্রতিক সংঘাতের ফলে, মায়ানমারের প্রায় ৫,০০০ নাগরিক এবং ৪০ জনেরও বেশি সেনা সদস্য মিজোরামে আশ্রয় চেয়েছিল। ভারত, অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে সৈন্যদের ময়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার, সীমান্তবর্তী এক সামরিক ঘাঁটি থেকে মায়ানমারের আরও অন্তত ২৯ জন সেনা ভারতে প্রবেশ করেছে বলে খবর রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মাস থেকে মায়ানমারে তীব্র লড়াইয়ের জেরে প্রায় ৯০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

Next Article