ওয়াশিংটন: এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল রাফাল। ৭২-তম প্রজাতন্ত্র দিবসে আকাশ দাপিয়ে বেড়িয়েছিল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান। এ বার ভারতের হাতে আসতে পারে রাফালের থেকেও শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান বোয়িং এফ-১৫ ইএক্স (Boeing F-15Ex)। বৃহস্পতিবারই বোয়িং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের তরফে ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক কথা বলার জন্য তারা এনওডি পেয়েছে। যার অর্থ, ভারতের বায়ুসেনার হাতে এই বিমান তুলে দিতে বোয়িং কর্তৃপক্ষের কোনও সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকল না।
ভারতের বায়ুসেনা ১১৪টি মধ্যম আকারের যুদ্ধ বিমান কেনার জন্য বিভিন্ন সংস্থার কাছে ইতিমধ্যেই তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যেই বোয়িং এপ/এ-১৮ই/এফ সুপার হর্নেট, লকহিড মার্টিনের এফ-২১ ছাড়াও রাশিয়ার আরএসি মিগ-৩৫, সুখোই এসইউ-৩৫-সহ একাধিক বিমানের নাম জমা পড়েছে। এ বার সেই তালিকায় সুযুক্ত হতে পারে বোয়িং এফ-১৫ ইএক্স। তবে সেন্ট লুইসে এফ-১৫ইএক্স প্রোজেক্টের প্রধান প্রত্যুষ কুমার জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার একই বিভাগে দু’টি বিমান পাঠাবেন না তাঁরা। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় নৌ সেনার কাছে সুপার হর্নেট পাঠাতে পারে বোয়িং। ভারতীয় নৌ বাহিনীও পৃথক ভাবে এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারের জন্য ৫৭ টি বিমান কেনার কাজ শুরু করেছে।
বোয়িংয়ের এফ-১৫ ইগল মার্কিন সেনাবাহিনীতে সংযুক্ত হয়েছিল প্রায় ৪ দশক আগে। তারপর থেকে ক্রমাগত উন্নত হয়েছে ওই যুদ্ধ বিমান। এই মুহূর্তে এফ-১৫ ইএক্স বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম যুদ্ধ বিমান। এই যুদ্ধ বিমান রাফাল বা সুখোই-৩০এমকেআইর থেকেও শক্তিশালী। শব্দের আড়াই গুণ দ্রুত ছুটতে পারে এফ-১৫ ইএক্স। একটি এই এফ-১৫ ইএক্স যুদ্ধ বিমানের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৫৮৩ কোটি টাকারও বেশি।
আরও পড়ুন: অপরাধ সমকাম! জনসমক্ষে দুই পুরুষকে ৭৭ বার বেতের ঘা
বৃহস্পতিবারই বোয়িং কর্তৃপক্ষ বোয়িং ইন্ডিয়া রিপেয়ার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ট সাস্টেইনমেন্ট হাব ঘোষণা করেছে। ভারত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বড় বোয়িং গ্রাহক। সে কথা মাথায় রেখেই বোয়িং কর্তৃপক্ষের অন্যতম প্রধান প্রত্যুষ কুমার বলেন, “সরকারের নীতি ও শর্ত মেনেই ভারতকে বোয়িং বিক্রি করতে রাজি তাঁরা।”