হিরোশিমা: একা ভারত (India) নয়, চিনের (China) সমালোচনায় সরব কোয়াড সদস্য দেশগুলিও। শনিবার জাপানের হিরোশিমা সামিটেই কোয়াড গ্রুপের সদস্য অস্ট্রেলিয়া (Australia), ভারত (India), জাপান (Japan) ও আমেরিকা (USA) একযোগে চিনের আচরণ নিয়ে পরোক্ষে আক্রমণ করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) ও বাকি তিন সদস্যরা চিনের নাম উল্লেখ না করলেও, যুগ্ম বিবৃতিতে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সামুদ্রিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার দাবি জানানো হয়।
কোয়াড সদস্য দেশগুলির তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শক্তি প্রয়োগ করে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টার আমরা তীব্র বিরোধিতা করি। স্বার্থসিদ্ধির জন্য সামরিক শক্তির ব্যবহার, নৌ সামরিক যান ও নৌবাহিনীর ব্যবহার এবং অন্যান্য দেশের উপকূলীয় সম্পদ শোষণ করার প্রচেষ্টা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।”
সাম্প্রতিককালে চিন যেভাবে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং সামরিক শক্তির ব্যবহার করে ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে তাইওয়ান সহ অন্যান্য দেশে, সেই প্রসঙ্গ টেনেই কোয়াড সদস্যরা চিনের নাম না উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পরিকাঠামোর বিস্তার ও উন্নয়নের উপরেও জোর দেন কোয়াড সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। সমুদ্রের নীচে কেবল নেটওয়ার্ককে আরও মজবুত করার পক্ষেও সওয়াল করেন তারা। একইসঙ্গে চিন যেভাবে বিভিন্ন দেশের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে, তা নিয়েও কটাক্ষ করা হয়। কোয়াড সদস্যরা জানান, উন্নতির লক্ষ্যে আর্থিক সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকলেও কারোর ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়াকে সমর্থন করা হয় না।
চিনের পাশাপাশি মায়ানমারের পরিস্থিতি ও উত্তর কোরিয়ার ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ ও পরমাণু অস্ত্র নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় কোয়াড সদস্য দেশগুলির তরফে।