কলম্বো: প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা না দিয়েই শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এই খবর চাউর হতেই দেশজুড়ে ফের একবার জ্বলে উঠেছে অশান্তির আগুন। প্রতিবাদে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। তাদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস, জল কামানও ব্যবহার করছে পুলিশ-সেনাবাহিনী। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতির মাঝেই গুজব রটেছিল শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে দেশ ছেড়ে পালাতে সাহায্য করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এই জল্পনা নিয়ে এবার মুখ খুলল ভারত সরকার। শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে জানানো হল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে গুজব ও ভিত্তিহীন।
এদিন সকালেই ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে টুইটে বলা হয়, “গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে শ্রীলঙ্কা থেকে পালাতে সাহায্য করার যাবতীয় ভিত্তিহীন গুজব নসাৎ করছে হাই কমিশন। শ্রীলঙ্কাবাসী গণতান্ত্রিক উপায় ও মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সাংবিধানিক কাঠামোর মাধ্যমে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য লড়াই করছে, ভারত সর্বদা শ্রীলঙ্কার মানুষের পাশেই রয়েছে”।
High Commission categorically denies baseless and speculative media reports that India facilitated the recent reported travel of @gotabayar @Realbrajapaksa out of Sri Lanka. It is reiterated that India will continue to support the people of Sri Lanka (1/2)
— India in Sri Lanka (@IndiainSL) July 13, 2022
মঙ্গলবার রাতেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এদিন সকালে শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয় যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাহায্য়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তাঁর স্ত্রী, সঙ্গে দুইজন নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে মলদ্বীপে পালিয়ে গিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বায়ুসেনার তরফেও বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্টের কাছে যে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া থাকে, তার ভিত্তিতেই গোতাবায়া রাজাপক্ষকে দেশ ছাড়তে সাহায্য করা হয়েছে।
বুধবার ভোরেই মলদ্বীপে পৌঁছন গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তাঁর স্ত্রী। সেখানে পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁরা কোনও গোপন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে, আজই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ছিল গোতাবায়া রাজাপক্ষের। কিন্তু দেশ ছাড়ার আগে তিনি ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে যাননি। রাষ্ট্রপতি পদ সামলানোর ভারও কারোর উপরে দিয়ে যাননি।
জানা গিয়েছে, আজই অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেও, জরুরি পরিস্থিতিতে সেই ইস্তফা গ্রহণ করা হচ্ছে না। আগামী ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। ১৯ জুলাই মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে।