AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সারা বিশ্বে প্রথম তিনিই নিলেন ফাইজ়ারের টিকা! ‘রেকর্ড’ গড়লেন অশীতিপর ভারতীয় বংশোদ্ভূত

টিকা নিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হরি শুক্লা বলেছেন, "আমি খুব খুশি যে আমরা অতিমারির শেষের দিকে এগোচ্ছি। ভ্যাকসিন নেওয়া আমার কর্তব্য। সাহায্য করতে আমি আমার করণীয় সব করব।"

সারা বিশ্বে প্রথম তিনিই নিলেন ফাইজ়ারের টিকা! 'রেকর্ড' গড়লেন অশীতিপর ভারতীয় বংশোদ্ভূত
হরি শুক্লা
| Updated on: Dec 08, 2020 | 11:11 AM
Share

লন্ডন: ব্রিটেনে প্রথম ফাইজ়ারের (Pfizer) করোনা প্রতিষেধক নিলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ৮৭ বছরের হরি শুক্লা সারা বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসাবে অনুমোদন প্রাপ্ত ফাইজ়ারের করোনা প্রতিষেধকের ডোজ় নিলেন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর হরি শুক্লা জানালেন, এটা তাঁর কর্তব্য।

হরি শুক্লাকে দিয়েই মঙ্গলবার টিকাকরণ শুরু হল ব্রিটেনে (Britain)। সে দেশে ফাইজ়ারের করোনা প্রতিষেধক পাবেন প্রায় ২ কোটি মানুষ। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক করোনা আক্রান্তরা তারপর প্রত্যেকের কাছে পৌছে যাবে করোনা প্রতিষেধক। ইতিমধ্যেই সে দেশের বেশির ভাগ হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পৌছে গিয়েছে টিকা। হরি শুক্লার টিকাকরণকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Borish Johnson) বলেছেন, “সামনের দিকে একটা বড় পদক্ষেপ।” ইতিমধ্যেই ৮ ডিসেম্বরকে ভি ডে অর্থাৎ ভ্যাকসিন দিবসের আখ্যা দিয়েছে ব্রিটেন।

টিকা নিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হরি শুক্লা বলেছেন, “আমি খুব খুশি যে আমরা অতিমারির শেষের দিকে এগোচ্ছি। ভ্যাকসিন নেওয়া আমার কর্তব্য। সাহায্য করতে আমি আমার করণীয় সব করব।” ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে গোটা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। হরি শুক্লার বয়স আশির বেশি। তাই ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ভাষার তাঁকে ‘জীবনদায়ী ডোজ়’ দেওয়া হল। যাদের বয়স আশির বেশি ব্রিটেনে তাঁরা প্রত্যেকেই অতি শীঘ্র করোনা প্রতিষেধক পাবেন।

আরও পড়ুন:  অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হল ৬ করোনা রোগীর

গত সপ্তাহে প্রথম দেশ হিসাবে ফাইজ়ারের করোনা প্রতিষেধককে অনুমোদন দিয়েছিল ব্রিটেন। এরপর ফাইজ়ারকে অনুমোদন দেয় বাহরাইন। ভারতেও অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে এই মার্কিন সংস্থা। তবে ভারতে ফাইজ়ারের পাশাপাশি অনুমোদন চেয়েছে কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিনও। সেক্ষেত্রে কে আগে অনুমোদন পাবে সেটাই দেখার। ব্রিটেনে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর দেশবাসীর মনে একটাই প্রশ্ন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত তো পেলেন, ভারত কবে পাবে?