India-China relations: পাক উত্তেজনা থাকলেও, সম্ভাবনা বেশি ভারত-চিন যুদ্ধের, দাবি আমেরিকার

US intel report: কাশ্মীরের অস্থিরতা বা ভারতে কোনও জঙ্গি হামলা থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। অন্যদিকে, সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চিন দুই দেশের সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি, এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সশস্ত্র সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। যেখানে মার্কিন হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। এমনই দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের।

India-China relations: পাক উত্তেজনা থাকলেও, সম্ভাবনা বেশি ভারত-চিন যুদ্ধের, দাবি আমেরিকার
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 15, 2024 | 7:20 AM

নয়া দিল্লি: ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের উত্তেজনা এখনও অব্যাহত। কাশ্মীরের অস্থিরতা বা ভারতে কোনও জঙ্গি হামলা থেকে দুই দেশের যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। অন্যদিকে, সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চিন দুই দেশের সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি, এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সশস্ত্র সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। যেখানে মার্কিন হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। এমনই দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের। আমেরিকার ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ‘বার্ষিক হুমকি মূল্যায়ন রিপোর্ট’ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে, দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের সমীকরণের মূল্যায়নও করা হয়েছে।

ভারত-পাকিস্তান

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের আপাত শান্ত হলেও তলায় তলায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। ২০২১ সালে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে। তবে,দুই দেশের “সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকবেই”। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করার পাকিস্তানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ভারতের পূর্ববর্তী সরকারগুলির তুলনায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পাকিস্তানি উসকানির জবাব সামরিক শক্তি দিয়ে জানাতে বেশি আগ্রহী। যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কাশ্মীরের অস্থিরতা বা কোনও জঙ্গি হামলার থেকেই দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের আগুন জ্বলে উঠতে পারে।

ভারত-চিন

ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমাধান সূত্রও বেরিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন। তবে, ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে ভারত অনেক বেশি সতর্ক হয়ে গিয়েছে। মার্কিন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এর আগে যতবার সীমান্তে ভারত ও চিন সেনার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, দেখা গিয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় ছোটখাট সংঘর্ষও যদি অবিরাম চলতে থাকে, তা দ্রুত বড় আকার নিতে পারে। বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় ভারত ও চিন দুই দেশই সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে। এর ফলে, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঝুঁকি বেড়েছে। এটা মার্কিন জনগণ এবং মার্কিন স্বার্থকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মনে করছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। প্রয়োজনে মার্কিন হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।

এর পাশাপাশি, মার্কিন মূল্যায়নে জলবায়ু সংক্রান্ত বিপদ বৃদ্ধির জন্যও ভারত ও চিনকে দায়ি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, শক্তির জন্য কয়লার উপর অত্যধিক নির্ভরতার কারণে দুই দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনও বাড়ছে।