লতার প্রতি ভালবাসা!নির্মাতাদের কোন শর্ত দিয়েছিলেন মধুবালা?
লতা মঙ্গেশকর, যাঁর কণ্ঠে একের পর এক সৃষ্টি হওয়া সুর সকলের মনে গেঁথে থাকে আজীবন। সুর সম্রাজ্ঞী সেই ভারতের নাইটেঙ্গেল যাঁদের হয়ে কণ্ঠ দিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের সর্বদাই সৌভাগ্যবাণ বলে মনে করেছেন। সেই তালিকাতে থাকা অন্যতম অভিনেত্রী হলেন মধুবালা।
লতা মঙ্গেশকর, যাঁর কণ্ঠে একের পর এক সৃষ্টি হওয়া সুর সকলের মনে গেঁথে থাকে আজীবন। সুর সম্রাজ্ঞী সেই ভারতের নাইটেঙ্গেল যাঁদের হয়ে কণ্ঠ দিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের সর্বদাই সৌভাগ্যবাণ বলে মনে করেছেন। সেই তালিকাতে থাকা অন্যতম অভিনেত্রী হলেন মধূবালা। ‘যব পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’ গান যে জুটিতে ইতিহাস করে রেখেছেন তাঁরা হলেন মধুবালা-লতা মঙ্গেশকর, এ সত্য সকলেরই জানা। তবে এ কথা অনেকেরই জানা নেই হয়তো, যে মধুবালা পর্দায় অভিনয় করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত চাপিয়ে দিতেন ছবি নির্মাতাদের উপর। তার মধ্যে অন্যতম হল লতা মঙ্গেশকরের গান।
সদ্য অলকা ইয়াগনি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। জানান, মধুবালা হলেন প্রথম অভিনেত্রী যিনি শুরু করেছিলেন শর্ত সাপেক্ষে ছবি সাক্ষর করা। আর তা হল, লতা মঙ্গেশকরের গান ছাড়া তিনি কোনও ছবিতে অভিনয় করবেন না। সেই সময় প্রতিটা স্টারই চাইতেন, লতা মঙ্গেশকর তাঁর হয়ে কণ্ঠ দিক। যার ফলে সর্বদাই তারিখ নিয়ে এক সমস্যা দেখা দিত। এমন কি ওয়াদি রহমান একটা সময়ের পর ঘুষ দিতে শুরু করেন লতা মঙ্গেশকরকে। বিষয়টা কেমন! লতা মঙ্গেশকর চকোলেট খেতে ভালবাসতেন। আর তাই ওয়াদি রহমান মাঝে মধ্যেই চকোলেট পাঠাতেন লতা মঙ্গেশকরের মন জয় করার জন্য, পাশাপাশি তিনি যাতে তাঁর সঙ্গে স্টেজ শো করতে রাজি হয়ে যান, এটাই থাকত লক্ষ্য। প্রতিটা নবাগত স্টারেদের এটাই স্বপ্ন থাকত, যে একদিন লতা মঙ্গেশকর তাঁদের হয়েও কণ্ঠ দেবেন।
লতা মঙ্গেশকরের গোল্ডেন ভয়েজের ঠিক এমনটাই ছিল কদর সিনেদুনিয়া থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বে। যাঁর একের পর এক অনবদ্য সৃষ্টি তৃপ্তীর সঞ্চার করত ভক্তমনে। ঝড়ের গতিতে হয়ে উঠত ভাইরাল। কিংবদন্তী শিল্পীর সৃষ্টি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে সমৃদ্ধ করবে, করোনার কোপ থেকে মুক্তি মিললেও শেষ রক্ষা হয়নি। ২০২২-এর শুরুতেই শেষ হয় তাঁর স্বর্ণযুগের সফর। আজও সেই স্মৃতিতে মন ভার ভক্তদের।