ওয়াশিংটন: আগেই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) আজীবনের জন্য ব্যান করেছে টুইটার। ফেসবুকও একই পথে হেঁটে ২ বছরের জন্য ব্যান করেছে ট্রাম্পকে। তারপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, তাঁকে ব্যান করে আমেরিকাবাসীকেই অপমান করেছে ফেসবুক। তিনি জানান, যে আমেরিকাবাসীরা তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন এটা তাঁদের অপমান।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে আসা নিশ্চিত হয়ে যায় ডেমোক্র্যাট বাইডেনের। কিন্তু নাছোড়বান্দা ট্রাম্প। একাধিক নাটকীয় টুইট করে তাঁর দাবি, জিতেছেন তিনিই। তাই অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে। এই টুইটের পর উগ্র ট্রাম্প সমর্থকরা চড়াও হন মার্কিন সংসদ ভবনে। তছনছ হয়ে যায় গোটা ক্যাপিটল। কেউ বসেন হাউস স্পিকার ন্যান্সি প্যালোসির চেয়ারে, কেউ বা ভাঙতে থাকেন জানালার কাচ।
ট্রাম্পের টুইটই প্রত্যক্ষভাবে ক্যাপিটলে হামলায় উসকানি দিয়েছিল, এই অভিযোগ করে ট্রাম্পকে আজীবনের জন্য টুইটার থেকে ব্য়ান করে ডোরসের সংস্থা। তারপর এ-ও সাফ জানানো হয়, ট্রাম্প যদি অন্য কোনও টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেন, তাহলে তাও ব্যান হবে। টুইটার থেকে আজীবন ব্যান হলেও পরবর্তীকালে ২০২৪ প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে লড়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। যেহেতু সে দেশে টুইটার একটি বড় প্রচার মাধ্যম, তাই জেদ দেখিয়ে ট্রাম্প এ-ও জানিয়েছিলেন, তিনি না কি নিজের টুইটার বানাবেন। এ বার ফেসবুকও রেহাই দিল না ট্রাম্পকে। তবে ২ বছরের ব্যান কাটিয়ে ২০২৪ নির্বাচনের আগেই ২৩-এ জুকারবার্গের প্ল্যাটফর্মে ওয়াপসি হতে পারে ট্রাম্পের।
আরও পড়ুন: ২ বছরের জন্য ট্রাম্পকে সাসপেন্ড করল ফেসবুক, টুইটার পরিষেবা বন্ধ হল অন্য একটি দেশে