নিউ ইয়র্ক: পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা সর্বজনবিদিত। মূল্যবৃদ্ধি প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে। পাকিস্তানে যদি আরও অর্থনৈতিক ধস নামে বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত কতটা প্রস্তুত? আমেরিকার এক অনুষ্ঠানে সেই প্রশ্নই করা হয়েছিল বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে। উত্তর দিতে গিয়ে পাকিস্তানের নাম না নিলেও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের এই পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তান নিজেই দায়ী।
পাকিস্তানের আগেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কাকে। তবে পাকিস্তানের সমস্য়া তার থেকে বেশি গভীর ও অনেক দীর্ঘমেয়াদি বলে মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী।
শ্রীলঙ্কার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন রকমের সমস্যার মুখে রয়েছে। আমরা শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেখেছি। গত বছর সে দেশের অর্থনীতিতে ধস নামার পর ভারত এগিয়ে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কাকে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার দিয়ে সাহায্য করা হয়েছিল। ভারত কীভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিকে সাহায্য় করে থাকে, সে উদাহরণ উল্লেখ করেছেন তিনি।
তবে পাকিস্তানের প্রসঙ্গে নাম না করে জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশের সমস্যা আরও গভীরে।” বিদেশমন্ত্রীর মতে, একদিকে সামর্থের বাইরে গিয়ে খরচ করছে পাকিস্তান, অন্যদিকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়নি। একসঙ্গে একাধিক ফ্যাক্টর এ ক্ষেত্রে কাজ করছে বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিদেশমন্ত্রীর দাবি, এমন কিছু নির্মাণের জন্য পাকিস্তান ঋণ নিয়েছে, যে নির্মাণের কোনও প্রয়োজন ছিল না। এই বক্তব্য বিদেশমন্ত্রী চিনের বিনিয়োগের কথা বলেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।