ইসলামাবাদ: অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান। ঋণে জর্জরিত পাকিস্তানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বিভিন্ন দেশের কাছে অর্থ সাহায্য চাইছেন। এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে তুলে আনতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। কিন্তু বিভিন্ন দেশের কাছে ‘অর্থভিক্ষা’ করতে দেখে খুশি নন, সে দেশের এক ইসলামিক নেতা। তেহরিক-ই-লাবাইকের নেতা সাদ রিজভি এই পরিস্থিতির মোকাবিলার দাওয়ায় দিয়েছেন। সম্প্রতি এক জনসভায় গিয়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মোকাবিলার উপায় বলেছেন। তিনি। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। প্রবল সমালোচিতও হয়েছেন পাকিস্তানের ওই জিহাদি নেতা।
দিন কয়েক আগে সুইডেন, নেদারল্যান্ডে কোরান পোড়ানো নিয়ে হইচই হয়েছিল। সেই বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়া দুর্বল বলে মনে করেন রিজভি। তাঁর মতে আরও কড়া সুরে কোরানের অপমানের জবাব দেওয়া উচিত ছিল। সেই সঙ্গে আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলাকেও জড়িয়ে দিয়েছেন ওই নেতা।
এ ব্যাপারে জনসভায় রিজভি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী ও গোটা ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরা বিদেশে আর্থিক সাহায্য ভিক্ষা করছেন। আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই কেন ওরা এ রকম করছে। তাঁরা বলছে পাকিস্তানের অর্থনীতি বিপদে রয়েছে। সারা বিশ্বে আমাদের অপমান হচ্ছে। আমি ওদের উপদেশ দেব, এ সব করার বদলে এক হাতে কোরান নিন আর সুটকেসে পরমাণু বোমা নিয়ে যান। সুইডেনের ক্যাবিনেটে গিয়ে কোরানের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন। এই কাজ করুন। দেখুন সারা বিশ্ব আপনার পায়ে এসে পড়বে। তা নাহলে আমি নাম বদলে ফেলব।”
এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই প্রবল সমালোচিত হয়েছেন ওই নেতা। রিজভির দল তেহরিক-ই-লাবাইককে নিষিদ্ধ ছিল পাকিস্তানে। ২০২১ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ওই দলের নেতাদেরপ জেল থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।