১১ দিনের উত্তেজনার পর শান্তি ফিরছে গাজ়ার মাটিতে, আপাতত সংঘর্ষে ইতি হামাস-ইজরায়েলের

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

May 21, 2021 | 7:24 AM

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ২টো থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তার আগে শেষ একবার এয়ারস্ট্রাইক চালায় ইজরায়েল।

১১ দিনের উত্তেজনার পর শান্তি ফিরছে গাজ়ার মাটিতে, আপাতত সংঘর্ষে ইতি হামাস-ইজরায়েলের
ইজরায়েলের হামলায় গাজায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িঘর। ছবি:PTI

Follow Us

গাজা়: টানা দুসপ্তাহ ধরে রাতে দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি হাজারো মানুষ। দুই দেশের লড়াইয়ে প্রতিদিনই রক্ত গঙ্গা বয়ে গিয়েছে গাজায়। প্রতিপক্ষ ইজরায়েলের উপরও পাল্টা হামলা চালিয়ে গিয়েছে হামাস। ১৫০-রও বেশি মানুষের মৃত্যুর পর অবশেষে ইতি পড়তে চলেছে দুই দেশের মন কষাকষিতে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মিশরের মধ্যস্থতা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুরোধের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার থেকে সংঘর্ষ বিরতি চালু হওয়ার পরই গাজার রাস্তায় নেমে আসেন প্যালেস্তাইনের নাগরিকরা, যারা বিগত ১১ দিন ধরে প্রাণভয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে দুই দেশের তরফেই জানানো হয়েছে, অপর পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করলেই ফের সংঘর্ষ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই মিশরের কায়রো থেকে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখার জন্য।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত দুটো নাগাদ হামাসের তরফে গুলি চালানো বন্ধ করে দেওয়া হলেও ইজরায়েলের তরফে শেষবারের মতো একবার এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়।

দীর্ঘদিন ধরেই ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে সমস্যা থাকলেও এ বার জেরুজালেম লাগোয়া শেখ জারাহ এলাকায় প্যালেস্তাইন পরিবারের উচ্ছেদ ঘিরে উত্তেজনার শুরু হয়। ইজরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট একাধিক প্যালেস্তাইন পরিবারকে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিতে যাচ্ছে, এই আশঙ্কা থেকেই আল আকসা মসজিদে অবস্থান বিক্ষোভ করছিল প্যালাস্তাইনিরা। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে তৎপর হয় ইজরায়েলের পুলিশ। সোমবার তা চরম আকার ধারণ করে। রবার বুলেট, জলকামান ও গ্রেনেড ছোড়ে ইজরায়েলের পুলিশ। আহত হন অন্তত ১ হাজারেরও বেশি প্যালেস্তাইনের বাসিন্দারা।

বরাবরই স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের দাবি করে এসেছে প্যালেস্তাইনের কট্টরপন্থী সংগঠন হামাস। অন্যদিকে, প্রথম থেকেই ইজরায়েলও সাফ জানিয়েছিল, জেরুজালেমকেই তারা রাজধানী হিসেবে চায়। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ, উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালের পর এই প্রথম এত পরিমাণে ধ্বংসলীলা দেখল গাজ়া ও তেল আভিভ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফেও দ্রুত সমস্যার সমাধান করে শান্তি স্থাপনের অনুরোধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিশ্বের বৃহত্তম হিমবাহে ভাঙন, বিপদ ঘনাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের, ‘মৃত্যুর মুখে ধরিত্রী’

Next Article