বিশ্বের বৃহত্তম হিমবাহে ভাঙন, বিপদ ঘনাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের, ‘মৃত্যুর মুখে ধরিত্রী’
এ ভাবে হিমবাহে ভাঙন সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে বেশ কয়েকটি দেশের জন্য। বিপদের তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে ফ্লোরিডা, ভারত এবং বাংলাদেশের।
উষ্ণায়নের প্রভাবে এ বার ভাঙন ধরল বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিমবাহে। আন্টার্কটিকার সবচেয়ে বড় হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার এই ছবি ধরা পড়েছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। জানা যাচ্ছে, ভেঙে যাওয়া হিমবাহের অংশটি ছোটখাটো একটি দ্বীপের আকারের। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আন্টার্কটিকার বরফাবৃত সাগরে ভাসছে বিশালাকার এই বরফের টুকরোটি।
হিমবাহের ভেঙে পড়া অংশটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার লম্বা। এর প্রস্থ প্রায় ২৫ কিলোমিটার। আকারে নিউইর্য়কের সবচেয়ে বড় দ্বীপ পুয়েতো রিকোর থেকেও বড় এই অংশটি। যেহেতু গোটা বিশ্বের তুলনায় আন্টার্কটিকার উষ্ণায়নের হার অনেকটাই বেশি, সেই কারণে এত দ্রুতগতিতে পৃথিবীর বরফের চাদর ভেঙে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। নাসার ক্যামেরাতেও এই হিমবাহে ভাঙনের এই ছবি ধরা পড়েছে।
নাসার অফিশিয়াল ইন্সাটাগ্রামে এই ছবিটি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। যা দেখে একজন লিখেছেন, ‘মৃত্যুর মুখে ধরিত্রী’। এখনও পর্যন্ত ৮ কোটির বেশি মানুষের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম হিমবাহ ভেঙে পড়ার এই ছবি পৌঁছে গিয়েছে।
View this post on Instagram
গবেষকদের মতে, এ ভাবেই যদি পৃথিবীর বরফের চাদর ভাঙতে থাকে তবে আগামী কয়েক বছরে সমুদ্রের স্তর কমপক্ষে ১.২ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। বলাই বাহুল্য, এমনটা হলে সমুদ্রপৃষ্ঠে থাকা বহু ভুখণ্ডই জলের তলায় ডুবে যাওয়ার উপক্রম হবে। এর ফলে গোটা বিশ্বের আবহাওয়ায় দ্রুত বদল আসবে। এর ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নিষ্ক্রমণ বাড়তে মারাত্মকভাবে।
আরও পড়ুন: ভরসন্ধ্যাবেলা অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে সিআইডি, বিজেপি সাংসদকে তলব ভবানীভবনে
তবে এ ভাবে হিমবাহে ভাঙন সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে বেশ কয়েকটি দেশের জন্য। বিপদের তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে ফ্লোরিডা, ভারত এবং বাংলাদেশের। এ ছাড়াও সাংহাই ও লন্ডনের নামও রয়েছে বিপজ্জনক দেশের তালিকায়। আবহাওয়াবিদদের অনুমান, উষ্ণায়নের এই প্রবণতা বজায় থাকলে ২৩০০ সালের মধ্যে সমুদ্রের স্তর ১.২ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। সমুদ্রের স্তর ২ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ পুরোপুরি সমুদ্রের তলায় চলে যাবে। কলকাতারও অস্তিত্ব থাকবে না বললেই চলে।
আরও পড়ুন: পিএম কিসান নিধির টাকা বণ্টন বন্ধ রাখা হোক বাংলায়, মোদীকে চিঠি দিলীপের