গাজা: একটা মিসাইলের আঘাত। নিমেষে শেষ হয়ে গেল শতাধিক প্রাণ। ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধে (Israel-Hamas War) প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন শয়ে শয়ে নিরাপরাধ মানুষ। মঙ্গলবার গাজা সিটির হাসপাতালে আছড়ে পড়ে একটি মিসাইল। কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই মিসাইলের আঘাতে, এমনটাই জানানো হয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধেই হাসপাতালে হামলার অভিযোগ উঠেছে। যদিও মঙ্গলবারই সেনার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, গাজা সিটিতে হাসপাতালে মিসাইল হামলা ও বিস্ফোরণের পিছনে তাদের কোনও হাত নেই। প্যালেস্তাইনের ছোড়া রকেটের আঘাতেই এই বিপর্যয় ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, ইজরায়েল ও হামাসের সংঘর্ষ থেকে প্রাণ বাঁচাতে সাধারণ মানুষ গাজার আল-আহলি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই আছড়ে পড়ে মিসাইল। নিমেষে গুড়িয়ে যায় হাসপাতালের একটি বড় অংশ। দাউদাউ করে আগুন ধরে যায় গোটা বিল্ডিংয়ে। একদিকে যেখানে সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে মিসাইলের আঘাতে কমপক্ষে ২০০ থেকে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, সেখানেই গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৮ সালের পর এটাই গাজায় ইজরায়েলের সবথেকে ভয়ঙ্কর হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
ইজরায়েলের ঘাড়ে এই হামলার দোষ পড়তেই আইডিএফের তরফে দাবি করা হয়, ওই সময়ে প্যালেস্তাইনের জিহাদি জঙ্গি সংগঠন একাধিক রকেট হামলা চালিয়েছিল। কোনও একটি রকেটেরই উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয় এবং তা আছড়ে পড়ে গাজার ওই হাসপাতালের উপরে।
ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের তরফে এক্স হ্যান্ডেলেও পোস্ট করা হয়। তাতে লেখা, “একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাসপাতালে রকেট হামলার জন্য ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি সংগঠনই দায়ী। আইডিএফের অপারেশনাল সিস্টেমের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, একগুচ্ছ রকেট ইজরায়েল লক্ষ্য় করে ছোড়া হয়েছিল। তা ওই হাসপাতালের উপর দিয়েই গিয়েছিল। কোনও একটি রকেট আছড়ে পড়েই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।”