জেরুজালেম: ৪ দিন পার হয়ে গিয়েছে, এখনও যুদ্ধ জারি ইজরায়েলে। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার পার করেছে। গাজা স্ট্রিপ, যেখান থেকে ইজরায়েলের উপরে হামলা চালাচ্ছে প্যালেস্তাইনের উগ্রবাদী সংগঠন হামাস, তা পুনর্দখল করে নিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। একদিকে যেখানে রকেট মিসাইল দিয়ে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে হামাস বাহিনী, সেখানেই পাল্টা জবাব দিলেও, এখনও রুদ্রমূর্তি ধরেনি ইজরায়েলি সেনা। অন্তত এমনটাই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। তাদের দাবি, এই যুদ্ধে এখনও সেভাবে শক্তি প্রদর্শন করছে না ইজরায়েল। তার অন্যতম কারণ হল, বহু ইজরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে পণবন্দি করে রেখেছে হামাস। ক্ষণে ক্ষণে তাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
গত শনিবার, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপরে হঠাৎই হামলা শুরু করে হামাস বাহিনী। ২০ মিনিটে ৫ হাজার রকেট ছোড়া হয় গাজা স্ট্রিপ থেকে। এরপরই পাল্টা জবাব দেয় ইজরায়েলও। শুরু হয় যুদ্ধ। ইজরায়েল প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত ৪ দিনের সংঘর্ষে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গাজার প্রশাসনের তরফেও ৭৬৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, হামাসের তরফে দাবি করা হয়েছে, তারা ১৬৩ জন ইজরায়েলি নাগরিককে বন্দি করে রেখেছে। গাজা স্ট্রিপের কোনও একটি গোপন সুড়ঙ্গে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, বন্দি করে রাখা এই নাগরিকদেরই মানব ঢাল বানাচ্ছে হামাস। কারণ তারা জানেন যে ইজরায়েলি সেনা তাদের নাগরিকদের উপরে হামলা চালাবে না। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের হাতে বন্দিদের মধ্য়ে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু।
হামাসের হত্যালীলা রুখতে ইজরায়েলের তরফে ১ লক্ষ সেনা পাঠানো হয়েছে গাজা সীমান্তেে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, বায়ুসেনাকেও হামাসের উপরে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইজরায়েলে হামাসের হামলায় এখনও অবধি ২৮ জন বিদেশি নাগরিকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এরমধ্যে ১১ জন নেপালের নাগরিক, ৪ জন আমেরিকা, ২ জন ইউক্রেন ও ১২ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক। যদিও মঙ্গলবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেন, হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।