গাজা সিটি: গাজার (Gaza) নিয়ন্ত্রণ হারাল হামাস (Hamas)। এমনটাই দাবি ইজরায়েলের (Israel)। সোমবারই ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দাবি করেন, হামাস বাহিনীর হাত থেকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধের এক মাস বাদে ইজরায়েলের এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। অন্যদিকে, গাজা শহরের সবথেকে বড় হাসপাতাল আল শিফায় জ্বালানি ও ওষুধ ফুরিয়ে যাওয়ায় রোগী মৃত্যু শুরু হয়েছে।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিডিয়ো ব্রডকাস্টে বলেন, “গাজার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে হামাস। জঙ্গিরা দক্ষিণ দিকে পালাচ্ছে। সাধারণ নাগরিক এখন হামাসের ঘাঁটি লুট করছে। ওদের আর সরকারের উপরে আস্থা নেই।”
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপরে প্রথম হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্তাইনের হামাস বাহিনী। ২০ মিনিটে ৫ হাজার মিসাইল ছোড়া হয় ইজরায়েল লক্ষ্য করে। ওই মিসাইল হামলায় কমপত্রে ১২০০ নাগরিক মারা গিয়েছিলেন। এরপরও থামেনি হামাস। সীমান্তের কাটাতাঁর পেরিয়ে কমপক্ষে ২৪০ জনকে বন্দি বানায় হামাস। মাস পেরিয়ে গেলেও যার অধিকাংশই এখনও বন্দি রয়েছে হামাসের হাতেই।
হামাসের এই শক্তি প্রদর্শনের জবাবেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। শুরু হয় আক্রমণ। হামাসের প্রধান ঘাঁটি গাজা স্ট্রিপই ইজরায়েলের প্রধান নিশানা হয়ে ওঠে। আইডিএফের লাগাতার হামলায় কার্যত নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে গাজার উত্তর অংশ। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ পরিষেবাও থাকছে না। সোমবারই প্যালেস্তাইনের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শায়েহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য আবেদন করেন।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিকে জানিয়েছেন, পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে হামাসের সঙ্গে কোনও চুক্তি হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কী কী শর্ত থাকবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি নেতানিয়াহু।