Italy: ১৭বার গর্ভধারণ, ১৭বারই ভুয়ো! কেন এমন করলেন মহিলা?
Italy Woman fake pregnancy: ১৭ বারই গর্ভধারণ সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছেন তিনি। একটিও সন্তান নেই তাঁর। এমনকি, একবারও গর্ভধারণ করেননি তিনি। এই ঘটনার জেরে, এখন জেলে যেতে চলেছেন তিনি। কিন্তু, কেন এই প্রতারণার রাস্তা নিলেন তিনি?

রোম: বারবারা আইওলি বয়স এখন ৫০ বছর। গত ২৪ বছরে তিনি নাকি ১৭বার গর্ভধারণ করেছেন। অন্তত, তিনি তাই দাবি করেছিলেন। ইটালীয় মহিলার দাবি ছিল, ১২ বার তাঁর গর্ভপাত হয়েছে। আর, তাঁর পাঁচটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু, তাঁর সন্তানদের কেউ কখনও দেখেনি। নেই তাদের জন্মের কোনও সংশাপত্রও। অথচ, প্রতিবারই বর্ভধারণের সময়, অফিসে ছুটি পেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ইটালি সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন মাতৃত্বকালীন ভাতাও। কিন্তু, সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ১৭ বারই গর্ভধারণ সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেছেন তিনি। একটিও সন্তান নেই তাঁর। এমনকি, একবারও গর্ভধারণ করেননি তিনি। এই ঘটনার জেরে, এখন জেলে যেতে চলেছেন তিনি। কিন্তু, কেন এই প্রতারণার রাস্তা নিলেন তিনি?
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, অফিস থেকে ছুটি পাওয়া এবং সরকারের কাছ থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতা হাতানোই ছিল তাঁর লক্ষ্য। তবে, এই কাজে তিনি একা নন, যুক্ত ছিলেন তাঁর প্রেমিক ডেভিড পিজিনাটোও। ৫৫ বছরের ডেভিড পুলিশের কাছে সব অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, তিনি জানেন বারবারা কখনই গর্ভবতী হননি। ১৭বার গর্ভধারণের নাটক করে ছুটি ভোগ করেছেন এবং সরকারের থেকে ভাতা নিয়ে নিয়ে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়িয়ে গিয়েছেন। যে পাঁচ সন্তানের তিনি জন্ম দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন, তাদের কারোর নাম নিবন্ধন কর হয়নি। তাদের কেউ কোনোদিন দেখে পর্যন্ত নেই। ডেভিড পিজিনাটো স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনিও বারবারার সঙ্গে এই প্রতারণায় জড়িত ছিলেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাতৃত্বকালীন সরকারি ভাতা আদায়ের জন্য, বারবার মিথ্যা মেডিকেল নথি জমা দিয়েছিলেন। প্রথমে বারবারা ও ডেভিড ইটালির স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগে ওই সকল নথিপত্র দিতেন। স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের নির্দেশে অফিস থেকে ছুটি পেতেন বারবারা। এরপর, ভাতা পাওয়ার জন্য আইএনপিএস বিভাগে সেইসব নথি জমা দিতেন। ডেভিড সরকারি সাক্ষী হয়েছেন। বারবারার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। তবে, বারবারা এখনও অপরাধ স্বীকার করেননি। তিনি এখনও দাবি করছেন, তাঁর ১২বার গর্ভপাত হয়েছে আর তিনি ৫ সন্তানের মা। তবে, দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি। ইটালির আদালত এই প্রতারণার কারণে, তাঁকে ১ বছর ৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে।