টোকিও: ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও আতঙ্ক কাটেনি জাপানে। বরং রাতভোর সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়েছে ইশিকাওয়া, নিগাটা ও তোয়ামা উপকূলে। ভূমিকম্পের আফটার শকও হয়েছে। JMO সূত্রে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, মোট ১৫৫টি আফটার শক হয়েছে। এরপর সময় যত এগোচ্ছে, উদ্ধারকাজ এগোচ্ছে, ততই হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জাপানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২। ঘরছাড়া বহু মানুষ। গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ভূমিকম্প ও সুনামির ভয়াবহতা উল্লেখ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোমবারের ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। কিন্তু, রাস্তাঘাটে এমনভাবে ধস নেমেছে, ফাটল হয়েছে যে প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে সেনার। এমনকি স্থানীয় বিমানবন্দরের রানওয়েতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। ও সোমবার বন্ধ রাখা হয়।
ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের পর জাপানের পাশে থাকার ও সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে সুনামির তীব্রতা কমবে বলে JMO সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষের বেশি মানুষ ঘরছাড়া এবং ৩৩ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। সেনা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে।