টোকিয়ো: মার্চের গোড়া থেকেই চিনে ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। পশ্চিমী দেশগুলিতেও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। বিশ্বজুড়ে যখন করোনার নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই সময়েই আশার আলো দেখাল জাপানের (Japan) ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা শিনোগি অ্যান্ড কো-লিমিটেড (Shinogi & Co Limited)। করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতেই তারা গবেষণামূলকভাবে একটি ওষুধ প্রস্তুত করেছে, যা শরীর থেকে দ্রুত ভাইরাসকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। রবিবারই জাপানি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গবেষণায় আশাজনক ফল পাওয়া গিয়েছে। আগামিদিনে করোনা চিকিৎসায় নতুন পথ দেখাতে পারে।
সংস্থার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এস-২১৭৬২২ (S-217622) নামক ওই ওষুধটি দেহ থেকে সার্স কোভ-২ ভাইরাস দ্রুত নির্মূল করতে সক্ষম। দ্বিতীয়/তৃতীয় দফার গবেষণায় এই ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হলেই গোটা বিশ্বে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে এই অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ।
করোনার যে ১২টি উপসর্গ রয়েছে, এই ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলাকালীন তাতে উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য না করা গেলেও, পাঁচ ধরনের ফুসফুস ও জ্বরের উপসর্গের কম্পোজিট স্কোর তুলনামূলকভাবে অনেকটাই উন্নত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিনোগি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওষুধটি ছাড়পত্র পেলে প্রতিবছর ১ কোটিরও বেশি ওষুধ উৎপাদন করা হবে। গত মার্চ মাসেই সংস্থার তরফে জানানো হয়, মার্কিন সরকারের সহযোগিতায় বিশ্বজুড়ে তারা তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু করবে।
করোনার ওষুধ উৎপাদনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই শেয়ার বাজারেও কদর বেড়েছে শিনোগি সংস্থার। বিভিন্ন দফার ট্রায়ালে ওষুধটির গুণাগুণ বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্যের উপরই নির্ভর করে সংস্থার শেয়ার দরও ওঠানামা করেছে। শুক্রবার আমেরিকার সঙ্গে এই ওষুধের সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হতেই হু হু করে বাড়তে থাকে শেয়ার দর। অন্যদিকে, গত ১৩ এপ্রিল যখন জানা গিয়েছিল যে এই ওষুধ গর্ভাবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে, সেই সময় বাজারে শিনোগির শেয়ার দরে প্রায় ১৬ শতাংশ পতন হয়।
আরও পড়ুন: France Election: কড়া টক্করেও ধরে রাখলেন প্রেসিডেন্টের গদি, ২ দশকের ইতিহাসে নজির ম্যাক্রঁ-র
আরও পড়ুন: Sri Lanka Crisis: চাল-ডাল কেনার ক্ষমতাও নেই আর, বিশ্ব ব্যাঙ্ক-আইএমএফ কি বাঁচাবে শ্রীলঙ্কাকে?