Jimmy Carter Dies: ভারতে তাঁর নামে রয়েছে একটি গোটা গ্রাম, ১০০ বছরে প্রয়াত আমেরিকার এই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট
Jimmy Carter Dies: গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই নানা ধরণের শারীরিক অসুস্থতার জেরে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। নিজের এই জর্জিয়ার বাড়ি থেকেই চলছিল সাময়িক চিকিৎসা। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বে এখান থেকেই নিজের চাষবাসের কাজ চালাতেন তিনি।
নয়াদিল্লি: একশো বছর বয়সে প্রয়াত আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। জিতেছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারও। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মার্কিন মসনদের প্রধানের দায়িত্বভার পালন করেছিলেন জিমি কার্টার।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই নানা ধরণের শারীরিক অসুস্থতার জেরে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। নিজের এই জর্জিয়ার বাড়ি থেকেই চলছিল সাময়িক চিকিৎসা। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বে এখান থেকেই নিজের চাষবাসের কাজ চালাতেন তিনি।
তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের বাড়িতেই পরিবার-পরিজনের উপস্থিতিতেই ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ প্রয়ান হয়েছে তাঁর। এছাড়াও, তাঁর পুত্র চিপ কার্টার জানান, ‘যারা শান্তি, মানবিকতা, নিঃস্বার্থ ভালবাসায় বিশ্বাসী, আমার মতো তাদের প্রত্যেকের কাছেই আমার বাবা একজন হিরো ছিলেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ব্রেন ক্যান্সার ধরা পড়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টারের। তারপর থেকেই এই মারণরোগ ধীরে ধীরে খেয়ে ফেলতে শুরু করে মার্কিন এই রাষ্ট্রপতিকে। তবে হার মানেননি তিনি। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেই কাটান ন’বছর। মৃত্যুকালীন সময়ে আমেরিকার সবচেয়ে বয়সি প্রেসিডেন্ট ছিলেন জিমি।
আন্তর্জাতিক মহলে নিজের কাজের জন্য হামেশাই প্রশংসা কুড়িয়েছেন জিমি কার্টার। জোর দিতেন মানবিকতা ও সামাজিক অধিকারের উপর। এছাড়াও, ইজরায়েল ও মিশরের মধ্যে শান্তিস্থাপনেও জিমির ভূমিকা নাকি অপরিহার্য, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
ভারতের সঙ্গে এই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্পর্ক ছিল অনেকটাই মসৃণ। এমনকী, হরিয়ানায় তাঁর নামেই নামকরণ হয়েছিল একটি গ্রামেরও। ১৯৭৮ সালে নিজের স্ত্রী রোসালিন কার্টারকে নিয়ে দৌলতপুর নামে হরিয়ানার একটি গ্রামে সফরে আসেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগমনে সেই গ্রামের মানুষরা এতটাই আপ্লুত হয়ে ওঠে যে নিজেদের গ্রামের নাম দৌলতপুর থেকে বদলে সরসরি কার্টারপুরি করে দেয় তারা।