ওয়াশিংটন : দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে সবরকমভাবে এগিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে যাতে ভারত স্থায়ী সদস্য হয়ে উঠতে পারেন, তার জন্যও প্রয়োজনীয় সাহায্য় করবে আমেরিকা। এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জো বাইডেন। এর পাশাপাশি, নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপেও যাতে ভারত সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ঢুকতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করবেন বাইডেন। হোয়াইট হাউজ়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউজ়ে শুক্রবার মোদী – বাইডেনের এক যৌথ বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বের ভূয়সি প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে যে বলিষ্ঠভাবে ভারত নিরাপত্তা পরিষদের নেতৃত্ব দিয়েছে, তা ভীষণভাবে প্রশংসনীয় বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
আর এই প্রসঙ্গেই বাইডেন জানিয়েছেন,ভারত যাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পেতে পারে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে আমেরিকা।
বিশ্ব রাজনীতিতে বরবারই গুরুত্ব পেয়েছে ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিত সম্পর্ক। বিশেষ দুই দেশের কূটনৈতিক অবস্থানের দিক থেকে দেখতে গেলে ভারত -মার্কিন সম্পর্ক (India USA Bilateral Relation) যতটা ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটাই আমেরিকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর ফোনে আলাপচারিতা হলেও মুখোমুখি সাক্ষাৎ এই প্রথম হল।
আফগানিস্তানের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে ভারতকে যখন আরও বেশি করে পাশে প্রয়োজন আমেরিকার, সেই সময়েই মার্কিন প্রেসিডেন্টও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করারই বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, ”আমি বহুদিন আগে থেকেই বিশ্বাস করে আসছি যে, ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক বিশেষ নানা চ্যালেঞ্জ, প্রতিবন্ধকতার সমাধান করতে পারে। আমি ২০০৬ সালেই বলেছিলাম যে ২০২০ সালের মধ্যে ভারত ও আমেরিকা অত্যন্ত ঘনিষ্ট দুটি দেশে পরিণত হবে।”
তবে কেবল বৈঠক চলাকালীনই নয়, শুক্রবার বৈঠক শুরুর আগেও বাইডেন টুইটারে লেখেন,,”আজ আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসে আলোচনায় বসছি। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার আশা করছি এই বৈঠকে। মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে কোভিড এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ, সমস্ত বিষয় নিয়েই আমাদের মধ্যে আলোচনা হবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে উৎসাহী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বৈঠকের শুরুতেই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, “আমাকে এবং আমার প্রতিনিধি দলকে এই উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এর আগেও আমরা আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছিলাম এবং সেই সময় আপনি ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও মজবুত করে তোলার কথা বলেছিলেন। আজ, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক শক্তিশালী করে তোলার জন্য আপনার দৃষ্টিভঙ্গিই বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”