জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রথম ফোনালাপেই বেজিংকে নিশানা বাইডেনের

সুমন মহাপাত্র |

Feb 11, 2021 | 4:17 PM

হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'চিনের অস্বচ্ছ অর্থনীতি' নিয়ে কথা হয়েছে দুই প্রধানের। এ ছাড়াও কথা হয়েছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও অস্ত্র ব্যবহারের বৃদ্ধি নিয়ে।

জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রথম ফোনালাপেই বেজিংকে নিশানা বাইডেনের
ফাইল চিত্র

Follow Us

ওয়াশিংটন: শক্তিধর দেশ হিসেবে আমেরিকার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে চিন। ট্রাম্প আমল থেকেই চিনকে বিঁধতে কোনও সুযোগ ছাড়ে না হোয়াইট হাউস। বাইডেন (Joe Biden) ক্ষমতায় এলেও প্রথমের দিকে সৌজন্য দেখায়নি চিন। পরবর্তীকালে অবশ্য জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন শি জিনপিং। এ বার শপথ গ্রহণের পর প্রথম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হল চিনা প্রেসিডেন্টের।

ক’দিন আগেই মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে বাইডেন বলেছিলেন, “শি জিনিপিংয়ের শরীরে গণতন্ত্রের গ-টাই নেই।” সেই আবহে দুই রাষ্ট্রনায়কের ফোনালাপে উঠে এল একাধিক প্রসঙ্গ। হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘চিনের অস্বচ্ছ অর্থনীতি’ নিয়ে কথা হয়েছে দুই প্রধানের। এ ছাড়াও কথা হয়েছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও অস্ত্র ব্যবহারের বৃদ্ধি নিয়ে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলেই অবনতি হয়েছিল আমেরিকা ও চিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক। দুই দেশের রেষারেষি বাণিজ্য যুদ্ধের আকারও নিয়েছিল। বাইডেন আমলে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে, এমন কথাও জানিয়েছিলেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু প্রথম থেকেই চিন প্রসঙ্গে দেখে শুনে পদক্ষেপ করছেন জো বাইডেন। কখনও গরমে তো কখনও নরমে বার্তা দিচ্ছেন বেজিংকে।

আরও পড়ুন: ‘ভ্যাকসিন চাই’, ট্রুডোর আবদারে কী বললেন ‘বন্ধু’ মোদী?

ফোনালাপে জিনপিংকে চিনা নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন বাইডেন। অন্য দিকে মুক্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয় নিয়েও সরব হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আবার কথা হয়েছে তাইওয়ান ও করোনা প্রসঙ্গেও। চিনের মানবাধিকার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে দুই রাষ্ট্রনায়কের ফোনালাপে। এর আগে ট্রাম্প আমলে জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরাসরি কথা হয়েছিল গত বছরের মার্চ মাসে। তারপর এই প্রথম কথা হল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের প্রধানের মধ্যে।

Next Article