এবার তবে কি সত্যি শুরু হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ? অন্তত তেমনটাই মনে করছে রাশিয়া। সোমবার রাশিয়ার লমেকার মারিয়া বুটিনার কথায় সেই আশঙ্কাই প্রকাশ পেয়েছেন। আর তার জন্য আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেই দায়ী করেছেন মারিয়া বুটিনা।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সম্প্রতি ইউক্রেনের উপর থেকে আমেরিকা প্রদত্ত অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রয়োগ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। অর্থাৎ এখন চাইলেই রাশিয়াকে অত্যাধুনিক অস্ত্রের সাহায্যে আক্রমণ করতে পারে ইউক্রেন। আগামীদিনে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকার নীতি বদলাতে পারে ভেবেই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন বলে খবর।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ইউক্রেন আগামী দিনে রাশিয়ার উপর দূরপাল্লার হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলেই খবর সূত্রে। যদিও এই বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার ঠিক দু’মাস আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অনুরোধে ইউক্রেন সেনাবাহিনীকে রাশিয়ার উপর মার্কিন অস্ত্র প্রয়োগের অনুমতি দিল বাইডেন প্রশাসন। এর ফলে সীমানা থেকেই রাশিয়ার সেনাঘাঁটিতে আক্রমণ চালাতে পারবে ইউক্রেন।
সূত্রের খবর, প্রথমে ATACMS রকেট ব্যবহার করে হামলা চালানো হতে পারে। এই রকেট ১৯০ মাইল আব ৩৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা করতে পারে।
এরপরেই মুখ খুলেছেন মারিয়া বুটিনা। তিনি বলেন, “বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় থাকতেই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে সর্বাধিক খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইছে। আমার আশা ট্রাম্প এই সমস্যা সমাধান করবেন। নাহলে পরিস্থিতি সত্যি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবধি গড়াতে পারে। যা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়।”
রাশিয়ার উচ্চকক্ষের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রথম উপপ্রধান ভ্লাদিমির জাবারভ জানিয়েছেন ইউক্রেন আমেরিকার মিসাইল ব্যবহার করে আক্রমণ করলে মস্কো সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেবে। তিনি বলেন, “এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর দিকে খুব বড় পদক্ষেপ।”
এর আগে ভ্লাদিমির পুতিন সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন, এই ধরনের অনুমোদন পশ্চিমের দেশ থেকে দেওয়া হলে তার মানে হল “ইউক্রেনের যুদ্ধে NATO দেশগুলি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলির সরাসরি জড়িয়ে পড়া।”
কিছু মার্কিন কর্মকর্তারাও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে দূরপাল্লার হামলার অনুমতি মেলায় যুদ্ধের সামগ্রিক গতিপথ পরিবর্তন হবে। ইউক্রেনকে সুবিধা দেবে।
ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনকে আমেরিকার আর্থিক ও সামরিক সহায়তা করা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, যদিও কীভাবে তা সম্ভব হবে সে সমন্ধে কিছু জানা যায়নি।