ওটায়া: জল্পনা চলছিলই। অবশেষ তাই সত্যি হল। কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা জাস্টিন ট্রুডোর। নিজের দলেই কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। শুধু প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে নয়। ‘লিবারেল পার্টি’র নেতা হিসেবেও পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
ভারত বিদ্বেষ এবং খালিস্তান প্রেমের জন্য ক্রমেই নিজের দলের ভিতরে কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সাংসদরা প্রকাশ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এক মাস আগেই ট্রুডোর উপরে অসন্তোষ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তবে চাপের মুখে অবশেষ গদি ছাড়লেন তিনি।
তবে প্রথমদিকে কিন্তু ট্রুডো ‘অবস্থা’ এমন ছিল না। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। তবে তাঁর ন’বছরের শাসনকালে বিদেশ নীতির ‘মূল মন্ত্রই’ ছিল ভারত-বিদ্বেষ। কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাঙ্ককে নিজের কবজায় রাখার জন্য খলিস্তানিদের সাহায্য করেছেন। এরপর দলের অন্দরে ক্রমেই বাড়ছিল অসন্তোষ। জানা যাচ্ছে, ২০২৫-এর অক্টোবরে কানাডায় হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন ট্রুডো বলে জানা গিয়েছে।