মৃত বেড়ে ৪০! কাবুলের জোড়া বিস্ফোরণের নেপথ্যে ‘আইএস হামলা’, দাবি তালিবানের

প্রাথমিকভাবে সন্দেহের নজর ঘুরে গিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অর্থাৎ আইএস-র দিকে।

মৃত বেড়ে ৪০! কাবুলের জোড়া বিস্ফোরণের নেপথ্যে 'আইএস হামলা', দাবি তালিবানের
ছবি-Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2021 | 11:31 PM

কাবুল: বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় কাবুল বিমানবন্দরের বাইরেই অপেক্ষায় বসে ছিল অগণিত কালো মাথা। তখনই একটা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, মুহূর্তের মধ্যে শেষ অন্তত ৪০ প্রাণ। তারপর চলল এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি। তারপর আরও একটা বিস্ফোরণ। আবারও না জানি কত জীবন সংহার।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কাবুলে ঘটে চলা পর পর ঘটনা দেখে প্রত্যাশিতভাবেই সন্দেহের নজর ঘুরেছিল তালিবানের দিকে। কিন্তু দায় নেওয়ার কথা তো দূরে থাক, তালিবান উল্টে বলছে যে তাদের সেনাবাহিনীই আহত হয়েছে জোড়া বিস্ফোরণে। আত্মঘাতী বিস্ফোরণের মডেল দেখে তাই প্রাথমিকভাবে সন্দেহের নজর ঘুরে গিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অর্থাৎ আইএস-র দিকে। যেহেতু মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে আগেই আইএস হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল, তাই সেই তত্ত্বই আরও জোরালো হচ্ছে।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কাবুল বিমানবন্দের গেটের বাইরে একটি হোটেল সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণের জেরে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে এক শিশুও শামিল। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, তালিবানের পক্ষ থেকেই এই বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘জঙ্গি হামলা’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এবং তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের দাবি, ইরাক এবং সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট দ্বারাই এই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই হামলা সম্পর্কে আইএস-র পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।

তালিবানি মুখপাত্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, জঙ্গিরা যাতে কোনও ভাবেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য আফগানিস্তানের মাটিকে না ব্যবহার করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে তালিবান গোটা আন্তর্জাতিক মহলের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, তালিবান মুখে যেটা বলছে সেটা বিশ্বাস করার বোকামি না করাই ভাল। অন্যদিতে জোড়া বিস্ফোরণের পর ইতিমধ্যেই কাবুলে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ। এখনও আরও বিস্ফোরণ হতে পারে, এই আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছে কাবুলবাসী।

এরই মধ্যে কাবুলের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম টোলো নিউজ়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জোড়া বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন। পেন্টাগন জানিয়েছে, ৪ মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। কাবুল জুড়ে কার্ফু জারি হয়েছে। তড়িঘড়ি কাবুল ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত। একটি পৃথক সূত্রে জানা গিয়েছে, কাবুলে তৃতীয় বিস্ফোরণও ঘটে গিয়ে থাকতে পারে। যদিও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেই সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে হাইঅ্যালার্ট জারি করা হয়েছে আরও বিস্ফোরণের আশঙ্কায়। আরও পড়ুন: রক্তগঙ্গা বইছে কাবুল বিমানবন্দরে, জোড়া বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু, শামিল শিশুও