AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

US presidential contest: হোয়াইট হাউসের মসনদে কে বসবেন? কমলা-ট্রাম্পের লড়াইয়ে কে এগিয়ে সমীক্ষায়?

US presidential contest: কমলা হ্যারিসই প্রথম মহিলা যিনি আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। আবার আমেরিকার ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কোনও মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। কমলা হ্যারিস কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে ইতিহাস রচনা করবেন? ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি কি প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস?

US presidential contest: হোয়াইট হাউসের মসনদে কে বসবেন? কমলা-ট্রাম্পের লড়াইয়ে কে এগিয়ে সমীক্ষায়?
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে পারবেন কমলা হ্যারিস?
| Updated on: Oct 30, 2024 | 3:06 PM
Share

ওয়াশিংটন: আর সপ্তাহখানেক বাকি। ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কে হবেন ৪৭তম প্রেসিডেন্ট? ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস কি পারবেন হোয়াইট হাউসের মসনদে বসতে? নাকি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার চার বছর পর ফের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। তার আগে সামনে এল সমীক্ষা। যেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে উনিশ-বিশের পার্থক্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর। সামান্য এগিয়ে রয়েছেন কে? কী বলছে সমীক্ষা?

২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন জো বাইডেন। চার বছর পর ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, প্রথমে কমলা হ্যারিসের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার কথা ছিল না। ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চেয়েছিলেন বছর একাশির জো বাইডেন। কিন্তু, তাঁর বয়স, শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠে। শেষপর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন। বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।

গত কয়েকমাস ধরে প্রচার চালিয়েছেন কমলা হ্য়ারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এক সপ্তাহ পর ভোট। তার আগে মঙ্গলবার রয়টার্স/ইপসোসের প্রকাশিত সমীক্ষা বলছে, দু’জনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তিনদিন ধরে চলা এই সমীক্ষা রবিবার শেষ হয়েছে। সেই সমীক্ষায় এক শতাংশের ব্যবধানে এগিয়ে কমলা হ্যারিস। সমীক্ষায় কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ, আর ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ।

জুলাইয়ে কমলা হ্যারিসের নাম ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর থেকে প্রত্যেক সমীক্ষায় সামান্য হলেও ট্রাম্পের তুলনায় এগিয়ে থেকেছেন হ্যারিস। তবে এগিয়ে থাকার ব্যবধান ক্রমশ কমেছে। অক্টোবরের ১৬ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত রয়টার্স/ইপসোস যে সমীক্ষা করেছিল, তাতে ২ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন হ্যারিস।

সদ্য সমাপ্ত এই সমীক্ষা ১১৫০ আমেরিকান নাগরিকের উপর করা হয়েছে। যার মধ্যে ৯৭৫ জন রেজিস্টার্ড ভোটার। এই সমীক্ষায় একাধিক ইস্যুতে হ্যারিসের থেকে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। অর্থনীতি, বেকারত্ব, চাকরির মতো ইস্যু সমাধানে ট্রাম্পকে এগিয়ে রেখেছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা। অভিবাসন ইস্যু নীতিতেও ট্রাম্পকে এগিয়ে রাখছেন অনেকে। তবে রাজনৈতিক চরমপন্থা হ্রাস ও গণতন্ত্র রক্ষায় ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে রয়েছেন হ্যারিস।

সমীক্ষায় ৮৯ শতাংশ রেজিস্টার্ড ডেমোক্র্যাট ভোটার জানিয়েছেন, এবার তাঁরা ভোট দেবেন। সেখানে ৯৩ শতাংশ রেজিস্টার্ড রিপাবলিকান ভোটার জানিয়েছেন যে এবার তাঁরা ভোট দেবেন। এটা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক দুই দলের কাছে। কারণ, ২০২০ সালের অক্টোবরে রয়টার্স/ইপসোসের সমীক্ষা ৭৪ শতাংশ রেজিস্টার্ড ডেমোক্র্যাট ভোটার জানিয়েছিলেন যে তাঁরা ভোট দেবেন। সেখানে ৭৯ শতাংশ রেজিস্টার্ড রিপাবলিকান ভোটার ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এবার যেসব রেজিস্টার্ড ভোটার ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন, তার ভিত্তিতে এক পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন হ্যারিস। সমীক্ষায় হ্যারিস পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৬ শতাংশ।

কমলা হ্যারিসই প্রথম মহিলা যিনি আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। আবার আমেরিকার ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কোনও মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। কমলা হ্যারিস কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে ইতিহাস রচনা করবেন? ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি কি প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস? উত্তর পেতে আর এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।