চণ্ডীগঢ়: শনিবার পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে কুখ্যাত খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরবিন্দর সিং রিন্ডার। এমনটাই জানা যাচ্ছে পঞ্জাব পুলিশ মারফত। গত মে মাসে মোহালিতে পঞ্জাব পুলিশের সদর দফতরে আরপিজি হামলা হয়েছিল। সেটাই ছিল পঞ্জাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথম এর রকেট হামলা। সেই হামলা-সহ একাধীক সন্ত্রাসবাদী হামলার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ঠিক কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে সূত্রের দাবি, তাকরে লাহোরের এক হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তার।
হরবিন্দর সিং রিন্ডা নিষিদ্ধ খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বাব্বর খালসার এক সদস্য ছিল। গত কয়েক বছর ধরে পঞ্জাবে, স্থানীয় গ্যাংস্টারদের সহায়তায় সে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। দীর্ঘদিন ধরেই সে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছে বলে মনে করা হত। গত মে মাসে পঞ্জাব পুলিশের সদর দফতরে হামলার পাশপাশি আরও বিভিন্ন অপরাধেই তাঁর নাম জড়িয়েছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার, নওয়ানশহরে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির কার্যালয়ে গ্রেনেড হামলার মতো হাইপ্রোফাইল মামলার চার্ডশিটে নাম রয়েছে রিন্ডার। শুধু পঞ্জাব নয়, মহারাষ্ট্র, চণ্ডীগঢ়, হরিয়ানা, এমনকী পশ্চিমবঙ্গেও বহু অপরাধকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিল সে। সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি মামলায় সে পলাতক আসামী হিসেবে চিহ্নিত ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে অপরাধ জগতে প্রবেশ করেছিল রিন্ডা। পঞ্জাবের তরন তারান জেলায় ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল সে। এরপর চন্ডীগঢ়ের হোশিয়ারপুরের পঞ্চায়েত প্রধান সতনাম সিং-এর হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ানোয় সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল সে। এরপর, রিন্ডা পঞ্জাবের তরন তারান জেলার সরহালি গ্রাম থেকে মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলায় পাড়ি দিয়েছিল। তারপরই কোনও এক সুযোগে সে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিল।