কাঠমাণ্ডু: টানা বৃষ্টিতে সিকিমের পাশাপাশি বিপর্যস্ত পড়শি দেশ নেপালও (Nepal)। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পূর্ব নেপালে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ধস (Landslide) নেমেছে একাধিক জায়গায়। বন্যা ও ধসের জেরে রবিবার পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবরও মিলেছে। এছাড়া নিখোঁজ অনেকে। নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ঋষি রাম কান্ডেল জানান, টানা বৃষ্টি ও ধসের ঘটনায় ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন ২৮ জন। যার মধ্যে ১৭ জন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মী। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।
নেপাল প্রশাসন সূত্রে খবর, পূর্ব নেপালের সানখুয়াসাভা জেলায় হিওয়া নদীর উপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ চলছে। টানা বৃষ্টিপাতের জেরে শনিবার সন্ধ্যায় সেই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণকেন্দ্রে ধস নামে। তারপরই ওই কেন্দ্রের ২ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে এবং নিখোঁজ হয়ে যান ১৭ জন। ধসে ওই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের মেশিন, যন্ত্রাংশও ভেসে গিয়েছে। এছাড়া তাপলেজাং জেলায় আচমকা ধস নামায় একটি বাড়ি ভেসে গিয়েছে। ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন একই পরিবারের ৩ সদস্য।
এদিকে, নেপালের নদীগুলির জল উপচে রাস্তায় উঠে এসেছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত চলবে এবং নদীগুলির জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে পারে বলে পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। সানখুয়াসাভা জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, টানা বৃষ্টিতে ইতিমধ্যে নদীর জল উঠে এসেছে রাস্তায়। বহু রাস্তা ও ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় ধস নেমেছে। পরিস্থিতি এমন যে উদ্ধারকারী দলের পক্ষেও কাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতে নেপালে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিককালে বৃষ্টিপাত ও ধসের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকরাও। কেননা সিকিমের মতো নেপালও পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের স্থান। একদিকে, টানা বৃষ্টিপাতে সিকিমে আটকে বহু পর্যটক, এর উপর নেপালেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় অনেক পর্যটকই তাঁদের ট্যুর বাতিল করেছেন।