5

Libya Tragedy: কান্নার রোল, মুছে গিয়েছে জনপথ, ধ্বংসস্তূপ আর গণকবরের ভিড়ে চাপা পড়ল লিবিয়ার ভবিষ্যৎ

Flood: স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রসও ইতিমধ্যেই লিবিয়ায় পৌঁছেছে। তারা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। উদ্ধারকাজে সমস্যার কথাও জানান তারা। ছবি:AFP

| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2023 | 12:51 PM
পচা দুর্গন্ধ, শ্বাস নেওয়া দায়। রাস্তায় পা ফেলতে হচ্ছে সন্তর্পণে। কারণ কোথাও ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে হাত-পা,কোথাও আবার ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে ক্ষীণ চিৎকারে ভেসে আসছে বাঁচানোর আর্তি। বন্যা ও বাঁধ ভেঙে বিপর্যয়ের ৪৮ ঘণ্টা পর এমনটাই চিত্র লিবিয়ায়। রাস্তাঘাট বলে আর কিছু নেই। জলের তোড়ে ধুয়ে গিয়েছে সবকিছু।  ছবি:AFP

পচা দুর্গন্ধ, শ্বাস নেওয়া দায়। রাস্তায় পা ফেলতে হচ্ছে সন্তর্পণে। কারণ কোথাও ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে হাত-পা,কোথাও আবার ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে ক্ষীণ চিৎকারে ভেসে আসছে বাঁচানোর আর্তি। বন্যা ও বাঁধ ভেঙে বিপর্যয়ের ৪৮ ঘণ্টা পর এমনটাই চিত্র লিবিয়ায়। রাস্তাঘাট বলে আর কিছু নেই। জলের তোড়ে ধুয়ে গিয়েছে সবকিছু। ছবি:AFP

1 / 10
ঠিক যেন সুনামি। হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে নেমে আসল বাঁধ ভাঙা জল। এক লহমায় ভেসে চলে গেল বাড়িঘর থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে থাকা গাড়ি-সব কিছু। লিবিয়ায় ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। নিখোঁজ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছবি:AFP

ঠিক যেন সুনামি। হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে নেমে আসল বাঁধ ভাঙা জল। এক লহমায় ভেসে চলে গেল বাড়িঘর থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে থাকা গাড়ি-সব কিছু। লিবিয়ায় ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। নিখোঁজ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছবি:AFP

2 / 10
  ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের জেরে গত সপ্তাহের শেষভাগ থেকেই ভাসছিল লিবিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ। রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর তা সর্ব শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে। ভেসে যায় আল-বায়দা, আল-মার্জ, তোবরুক, বাতাহ-র মতো একাধিক শহর। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেরনা ও বেনগাজির শহর। ছবি:AFP

ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের জেরে গত সপ্তাহের শেষভাগ থেকেই ভাসছিল লিবিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ। রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর তা সর্ব শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে। ভেসে যায় আল-বায়দা, আল-মার্জ, তোবরুক, বাতাহ-র মতো একাধিক শহর। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেরনা ও বেনগাজির শহর। ছবি:AFP

3 / 10
লিবিয়ার দেরনায় ছিল একাধিক নদীবাঁধ। লাগাতার বৃষ্টির জেরে পাহাড়ের বুক চিরে নেমে আসে হড়পা বান। ভেঙে যায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ। সেই বাঁধের জল আবার আছড়ে পড়ে আরেকটি বাঁধের উপরে। পরপর দুটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আটকে রাখা জল হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে। সামনে যা কিছু ছিল সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ছবি:AFP

লিবিয়ার দেরনায় ছিল একাধিক নদীবাঁধ। লাগাতার বৃষ্টির জেরে পাহাড়ের বুক চিরে নেমে আসে হড়পা বান। ভেঙে যায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ। সেই বাঁধের জল আবার আছড়ে পড়ে আরেকটি বাঁধের উপরে। পরপর দুটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আটকে রাখা জল হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে। সামনে যা কিছু ছিল সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ছবি:AFP

4 / 10
বাঁধ ভাঙা বন্যায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেরনা। শহরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বাড়িঘর ভেসে সমুদ্রে পৌঁছে গিয়েছে। শহরের বুক চিরে যে জনপথ ছিল, তার সম্পূর্ণটাই নদীর কাদামাটির নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে রয়েছে তার প্রমাণ। ছবি:AFP

বাঁধ ভাঙা বন্যায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেরনা। শহরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বাড়িঘর ভেসে সমুদ্রে পৌঁছে গিয়েছে। শহরের বুক চিরে যে জনপথ ছিল, তার সম্পূর্ণটাই নদীর কাদামাটির নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে রয়েছে তার প্রমাণ। ছবি:AFP

5 / 10
অস্তিত্ব মুছে গিয়েছে হাসপাতালেরও। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য় অ্যাম্বুল্যান্সও নেই। কারণ তা কাদামাটির নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে। ফলে ভেঙে পড়়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। ছবি:AFP

অস্তিত্ব মুছে গিয়েছে হাসপাতালেরও। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য় অ্যাম্বুল্যান্সও নেই। কারণ তা কাদামাটির নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে। ফলে ভেঙে পড়়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। ছবি:AFP

6 / 10
যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহের সৎকারের জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় গণকবর খোঁড়া হয়েছে। বডি ব্যাগের ভিড়ে অনেকেই তাদের পরিজনকে শেষ একবার বিদায় জানানোর সুযোগও পাচ্ছেন না। ছবি:AFP

যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহের সৎকারের জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় গণকবর খোঁড়া হয়েছে। বডি ব্যাগের ভিড়ে অনেকেই তাদের পরিজনকে শেষ একবার বিদায় জানানোর সুযোগও পাচ্ছেন না। ছবি:AFP

7 / 10
ইতিমধ্যেই সাহায্য এসে পৌঁছেছে মিশর, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, কাতার, তুরস্ক থেকে। কিন্তু আভ্যন্তরীণ বিরোধ ও রাজনীতির কারণে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বন্টনে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। ছবি:AFP

ইতিমধ্যেই সাহায্য এসে পৌঁছেছে মিশর, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, কাতার, তুরস্ক থেকে। কিন্তু আভ্যন্তরীণ বিরোধ ও রাজনীতির কারণে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বন্টনে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। ছবি:AFP

8 / 10
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রসও ইতিমধ্যেই লিবিয়ায় পৌঁছেছে। তারা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। উদ্ধারকাজে সমস্যার কথাও জানান তারা। ছবি:AFP

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেড ক্রসও ইতিমধ্যেই লিবিয়ায় পৌঁছেছে। তারা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। উদ্ধারকাজে সমস্যার কথাও জানান তারা। ছবি:AFP

9 / 10
বিপর্যস্ত লিবিয়ায় এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর আদৌ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ছবি:AFP

বিপর্যস্ত লিবিয়ায় এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর আদৌ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ছবি:AFP

10 / 10
Follow Us: