লন্ডন : ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে লিজ় ট্রাস। আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রী বাছাই প্রক্রিয়ার ফল ঘোষণা করা হবে। অগস্টের শুরুর দিক থেকে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। টরি শিবিরের প্রায় ২ লাখ সদস্য পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিং প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে ঋষি সুনকের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন লিজ় ট্রাস। উল্লেখ্য, ব্রিটেনে বর্তমানে বেশ কিছু গুরুতর সমস্যা চলছে। বিশেষ করে জীবনযাত্রার মান বজায় রাখার জন্য যে পরিমাণ ব্যয় হয়, তা সাম্প্রতিক অতীতে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর ব্রিটেনে মুদ্রাস্ফীতি এবং জ্বালানি মূল্য অন্যতম মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে।
সাম্প্রতিককালে নির্বাচনী আবহে প্রচুর ঘাম ঝড়িয়েছেন লিজ় ট্রাস। টেলিভিশনে বিতর্কসভায় অংশগ্রহণ করেছেন, দেশজুড়ে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেছেন। করে ছাড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাস। যদিও তাতে সে দেশের দরিদ্র শ্রেণির কতটা উপকার হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ট্রাসের সমালোচকদের একাংশ। দ্য সান সংবাদপত্রে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ট্রাস আবারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, “আমজনতাকে যাতে জ্বালানির আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে সমস্যার মধ্যে না পড়তে হয়, তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার পর থেকেই ব্রিটেনে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জোর চর্চা চলছিল। টরি শিবিরের রাজনীতিকরা চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেন, কাকে বরিস জনসনের উত্তরসূরি করা হবে। শেষ পর্যন্ত বাছাই প্রক্রিয়ায় উঠে আসে লিজ় ট্রাস এবং ঋষি সুনকের নাম। টরি শিবিরের ভোটাভুটিতে এখন অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন লিজ় ট্রাস।
ব্রিটেনের স্ট্রাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক জন কার্টিস সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, “ট্রাস একজন ভাল রাজনীতিক। সুনকের মধ্যে বেশ কিছু দিক রয়েছে, যা তাঁকে একজন ভাল মন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরতে হবে। কিন্তু ট্রাসের মধ্যে এমন কিছু দিক রয়েছে, যা তাঁকে একজন ভাল রাজনীতিক হিসেবে তুলে ধরে।”