ঢাকা: শুক্রবার (১৬ জুন) সকালে জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ (Bangladesh Earthquake)। কম্পন অনুভূত হয়েছে ভারতের অসম এবং উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজ্যেও। এদিন সকাল ১০টা বেজে ১৬ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.৮। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে, সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প হয়। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পের জেরে কারও প্রাণহানি বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। কোনও সম্পত্তির ক্ষতিরও খবর পাওয়া যায়নি। ১৩ জুন, জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় একটি ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। যার জেরে কম্পন অনুভূত হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লি, পঞ্জাবেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছিল। কম্পন অনুভূত হয়েছিল পাকিস্তানের কিছু অংশেও।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা-সহ প্রায় গোটা বাংলাদেশেই এদিন ভূমিকম্প অনুভব করেছেন মানুষ। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের সহকারি আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানিয়েছেন, ভূমিতকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের গোলাপগঞ্জ। এর আগে ৫ মে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। ভোর ৬টা নাগাদ হওয়া সেই ভূকম্পনটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪.৩। বাংলাদেশ ও তার আশপাশের অঞ্চলে অবশ্য ভূমিকম্প নতুন কোনও ঘটনা নয়। ১৫৪৮ সাল থেকে মাঝে মাঝেই সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় ভূমিকম্পের রেকর্ড রয়েছে। ১৮২২ ও ১৮১৮ সালে সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ৭.৫ ও ৭.৬ মাত্রার দুটি ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়েছিল। এই দুই ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছিল, তার বর্ণনা অবশ্য পাওয়া যায় না। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে প্রায় ৫৫টি ছোট ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এদিনই দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গার কাছে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল টোঙ্গার প্রায় ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬৭ কিলোমিটার গভীরে। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। সমুদ্রের নীচে ভূমিকম্পটি হলেও, মার্কিন সুনামি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা জানিয়েছে, মার্কিন পশ্চিম উপকূল, ব্রিটিশ কলম্বিয়া বা আলাস্কায় সুনামির কোনও সম্ভাবনা নেই। অস্ট্রেলিয়াতেও এই ভূমিকম্পের ফলে কোনও সুনামি হওয়ার আশঙ্কা নেই বলেই জানা গিয়েছে।