Afghanistan earthquake: এখনও ঘা শোকায়নি, ফের কেঁপে উঠল আফগানিস্তান, আবার কি মৃত্যু মিছিল?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Oct 15, 2023 | 1:13 PM

Afghanistan earthquake: এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এদিনের ভূমিকম্পে হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর দেওয়া হয়নি। তবে, স্থানীয় সূত্রে জান গিয়েছে, হেরাতে দেওয়াল চাপা পরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। আরও বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাজেই মৃতের সংখ্যা অনেক বড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Afghanistan earthquake: এখনও ঘা শোকায়নি, ফের কেঁপে উঠল আফগানিস্তান, আবার কি মৃত্যু মিছিল?
এক সপ্তাহ পরই ফিরল আতঙ্ক, ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে
Image Credit source: Twitter

Follow Us

কাবুল: বিপর্যয় থেকে যেন নিষ্কৃতি নেই আফগানিস্তানের। রবিবার (১৫ অক্টোবর), ফের আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ হেরাত কেঁপে উঠল ৬.৩ মাত্রার বড় মাপের ভূমিকম্পে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল হেরাতের প্রাদেশিক রাজধানী শহর থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরের এক জায়গায়, মাটি থেকে আট কিলোমিটার নীচে। ২০ মিনিট পরই আবার একটি ৫.৪ মাত্রার আফটারশক ওই একই এলাকায় আঘাত হানে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি। এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এদিনের ভূমিকম্পে হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর দেওয়া হয়নি। তবে, স্থানীয় সূত্রে জান গিয়েছে, হেরাতে দেওয়াল চাপা পরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। আরও বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাজেই মৃতের সংখ্যা অনেক বড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগেই, ৭ অক্টোবর, হেরাতের একই অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ক্ষেত্রেও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। ওই কম্পনের পর আরও আটটি জোরালো আফটারশক হয়েছিল। একের পর এক গ্রাম প্রায় মাটিতে মিশে গিয়েছিল। প্রায় ২,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়। আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন। ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহতদের ৯০ শতাংশের বেশি ছিলেন মহিলা ও শিশু। ইউনিসেফের এক কর্তা বলেছেন, “মহিলা এবং শিশুরা অধিকাংশ সময়ই বাড়িতে থাকে। পরিবার এবং শিশুদের দেখাশোনা করেন মহিলারাই। তাই ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার সময় তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকিই সবথেকে বেশি থাকে।” ওই এলাকার অন্তত ছয়টি গ্রাম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ১২,০০০-এরও বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।


এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম। সেই সঙ্গে এখানকার বাসিনাদের দারিদ্রের সীমা নেই। ধুলো পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত গ্রামগুলির অধিকাংশ বাড়িই ছিল পোড়া মাটির। সেই বাড়িগুলির আর কিছু অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। স্কুল, হেল্থ ক্লিনিক এবং গ্রামীণ এলাকার অন্যান্য পাকা বাড়িগুলিও ভেঙে পড়েছে। মৃতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য গণকবর খনন করতে হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সরিয়ে এখনও পরিবার পরিজনের খোঁজ করছেন এলাকার মানুষ। অনেক জায়গায় এমন অবস্থা, এলাকার যত মানুষ বেঁচে আছেন, তার থেকে উদ্ধারকারী হিসেবে বাইরে থেকে আসা লোকের সংখ্যা বেশি। এই ভয়ঙ্কর ক্ষতির সঙ্গে এলাকার মানুষ যখন মানিয়ে নেওয়ার লড়াই শুরু করছেন, সেই সময়ই ফের ভূমিকম্পের কবলে পড়ল এই এলাকা।

Next Article