পেট্রাপোল: ইসকনের সন্ন্যাসীকে গ্রেফতারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সরব হয়েছেন হিন্দুরা। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। পাল্টা জবাব দিয়েছে ইউনুসের সরকার। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে চালু হল মৈত্রী দ্বার ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং। এর ফলে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য বাড়বে। আর্থিকভাবে লাভবান হবে ভারত-বাংলাদেশ।
গত ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে পেট্রাপোল সীমান্তে মৈত্রী দ্বার ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পড়শি দেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (LPAI)-র ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন। সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত বাণিজ্য, দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক তৈরিতে এলপিএআই প্রবেশপথ বলে মন্তব্য করেছিলেন অমিত শাহ।
পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর হল দুই দেশের যোগাযোগের অন্যতম সীমান্ত। ভারতের দিকে পেট্রাপোল স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর। দুই দেশের বাণিজ্য ও যাত্রী পারাপারের অন্যতম সীমান্ত পেট্রাপোল-বেনাপোল। ভারত বাংলাদেশের স্থলপথে যে বাণিজ্য হয়, তার ৭০ শতাংশ এই সীমান্ত দিয়ে হয়। আবার দুই দেশের মোট বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ হয় এই সীমান্ত দিয়ে। আবার পেট্রাপোল ভারতের অষ্টম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক অভিবাসন বন্দর। বছরে এই সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের ২৩.৫ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন।
পেট্রাপোলে নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীদের যাত্রার ক্লান্তি কমাবে। এখানে এক ছাদের তলায় রয়েছে অভিবাসনের অফিস, কাস্টমস এবং সুরক্ষা পরিষেবা। তেমনই প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিশুদের স্তন্যপান করানোর রুম, খাবারের দোকান-সহ নানা সুবিধা রয়েছে যাত্রীদের জন্য। অন্যদিকে, দুই দেশের বাণিজ্যকে আরও ত্বরান্বিত করতে মৈত্রী দ্বারের উদ্বোধন করা হয়েছে। মালপত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাকগুলি যাতে দ্রুত ছাড়পত্র পায় তার ব্যবস্থা রয়েছে মৈত্রী দ্বারে। স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ, ফেসিয়াল রিকগনিশন ক্যামেরা-সহ নানা আধুনিক সুবিধা রয়েছে মৈত্রী দ্বারে।